পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান। ২৩ স্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিতে হিমালয়গুহার নীচে ঘোর তরঙ্গযুক্ত গঙ্গাতীরে স্ত্রীলোকের কঙ্কণধ্বনি শ্রবণ করিয়া । গঙ্গার শোভা সনদর্শন করতঃ কিয়দর গমন করিয়া গঙ্গাতটে এক স্থানে রম্ভ তিলোত্তম মেনকা প্রভূতি সর্গকামিনীদিগকে দেখিতে পাইলেন। পুরুষের গতীয়াত বিহীন সেই নির্জন প্রদেশে পরিধেয় বস্ত্রাদি পরিত্যাগ করিয়৷ সেই স্বৰ্গবেশু্যাগণ নিঃশঙ্কচিত্তে জলক্রীড়া করিতেছিল। তাহাদিগের অসামান্য রূপলাবণ্য স্থনিৰ্ম্মল মুখশ্ৰী ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমুদায়ের নিরুপম সৌন্দর্ঘ্য শোভ দ্বার দর্পণন্যায় নিৰ্ম্মল শরীরে পরম্পরের শরীর প্রতিবিম্বিত হওয়াতে বিশ্বরূপ একত্র স্থিত অথবা দ্বাদশ চন্দ্রেীদয়ে আকাশের যেমত আশ্চৰ্য্য শোভার সম্ভাবনা অনুভব হয়, সেই স্থানে সেইরূপ অতি বিস্ময়জনক অনির্বচনীয় শোভা - ইয়াছিল । সেই কালে সেই আশ্চর্য্য মনোহারিণী লাবণ্যবর্তী সুন্দরী কামিনীদিগকে ক্ষশন করিয়া সেই মুনির মন অসীম আনন্দযুক্ত হওয়াতে বিবেকত্যাগে বামরিকার প্রাপ্ত হইয়। হঠাৎ সেই স্থানে তাহার রেতঃস্খলন হয়। তদনন্তর তিনি সেই বীৰ্য্য পাশ্ব স্থ স্ফটিক কুম্ভের মধ্যে স্থাপন করিয়া দুগ্ধের দ্বারা সেই কুম্ভ পূর্ণ করিলে পর ক্রমে ক্রমে পূর্ণ দেহ প্রাপ্ত হইয়া কিয়দিবস পরে সময় ক্রমে আমি তন্মধ্য হইতে নির্গত হইলাম। সেই অহং নামে দীপ্যমান আমার নাম কুম্ভ। কুম্ভমধ্যে জন্ম বিধায় নামও আমার