পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ চূড়াল উপাখ্যান । হইয়া সেই ব্যক্তি সৰ্ব্বত্যাগী হয়। রাজা কছিলেন, হে দেব ! দুর্জয় অহঙ্কার যাহার মূল, এমত দুষ্টচিত্ত বৃক্ষের দাহন কার্য্যে কোন অগ্নি প্রয়োগ বিধেয়। চুড়াল কহিলেন, আমি কে ? কিরূপ, কোথা হইতে আসিয়াছি, পরেই বা কোথায় যাইব, কি প্রকারে আমি এই দেহপিঞ্জর মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া চিরকাল আবদ্ধ রহিয়াছি, এই শরীররূপ কারাগার মধ্যে আমাকে কে চিরকাল বদ্ধ রাখিয়াছে, এবং এই অনিত্য জড় দেহের মধ্যে কোন স্থানেই বা আমি আছি, এইরূপ সর্বদা যে স্বকীয় আত্মার বিচার, সেই বিচারাগ্নি চিত্তবৃক্ষের দাহনকার্য্যে উপযুক্ত হয়। তুমি সেইরূপ বিচারাগ্নির দ্বারা চিত্তবৃক্ষের মূলসমেত দগ্ধ করিয়া নিশ্চিন্ত শান্ত ও স্বভাবস্থ হও । রাজ কহিলেন, মুনে ! আমি স্বকীয় বুদ্ধির দ্বারা অনেক প্রকারে আত্মবিচার করিয়া দেখিয়াছি, কিন্তু অহং নামে স্থিতি কুত্ৰাপি প্রাপ্ত হই নাই। রক্তমাংস অস্থি শিরা নখ কেশ লোমাদিবিশিষ্ট জড় এই শরীর আমি নহি। কৰ্ম্মেন্দ্রিয় মন ও বুদ্ধীন্দ্রিয়াদি কোন বস্তু আমি নহি। হে মুনে । এই দেহের বাহিরে এবং অন্তরে নখাগু ভাগ হইতে কেশীগ্র ভাগ পৰ্য্যন্ত আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করিয়া দেখিয়াছি। তাহাতে কোথায় যে আমি আছি, এমত নিশ্চিত স্থান জানিতে পারি নাই ; তথাপি এই প্রকার অনেক বিচার করিলেও সেই দারুণ চিত্তবৃক্ষের বীজ যে অহঙ্কার তাহ