পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । N)○ অকারণে নিশ্চয় আমার অন্তঃকরণে সংলগ্ন হইয়া রহিয়াছে। আমি সেই চিত্তমূল অহঙ্কারকে পরিত্যাগ করিবার উপায় জানি না, বারম্বার আমি তাহ পরিত্যাগ করিলেও সে অহঙ্কার আমাকে কোন প্রকারে পরিত্যাগ করে না। অনেক চেষ্টা ও যত্ন করিয়াও যখন তাহা কোন প্রকারে পরিত্যাগ হইল না, তখন নিতান্ত নিরুপায় হইয়া বনাশ্রয় গ্রহণ দ্বারা এই তপস্যারূপ ব্রতসাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছি । ইহাতেও যে শেষ কি ফলেtৎপত্তি হইবে, তাহাও আমি বিশেষ জানি না। হে দেব ! সম্প্রতি তোমার বাক্যরূপ মধুপানে আমার চিত্তভ্রমর অসীম সন্তোষপ্রাপ্ত হইতেছে, অতএব হে মুনে! হে গুরো ! সেই দারুণ অহঙ্কার যাহাতে নিরাকৃত হয়, এই মহাসংসারভ্রম যাহাতে নিবৃত্তি পাইয়া পুনঃপুনঃ জন্মরূপ দৃঢ় বন্ধনে পুনরায় আবদ্ধ ছুইতে না হয়, আমার দুঃখশান্তির নিমিত্তে অনুগ্রহ করিয়া আমাকে সেই তত্ত্ব উপদেশ করন্থ। - চুড়াল কহিলেন, যাবৎ পৰ্য্যন্ত অজ্ঞান সম্বন্ধ, যাবৎ ব্রহ্মের অচিন্তা, যাবৎ জগদ্বস্তুতে আস্থা থাকে, তাবৎ মন, চিত্তাদি কল্পনা থাকে, যাবৎ শরীরের প্রতি অহংভাব, যাবৎ দৃশ্য বস্তুতে মন গমন করে, যাবৎ পৰ্য্যন্ত এই বস্তু আমার, এই কৰ্ম্ম আমার, এই বিষয় আমার, এইরূপ বাহ্য. বিষয় সকলেতে মনের আস্থা থাকে, তাবৎ পৰ্য্যন্ত মনচিত্তাদির ভ্রমু দূর হয় না, যাবৎ পর্যন্ত চিত্তাদির ভ্রম