পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8V) চুড়াল উপাখ্যান। কৰ্ম্ম, সাধুসঙ্গ, ও সর্বদা জ্ঞানালোচনা করাতে মন অতিনিৰ্ম্মল হয়। শোকমোহাদিবিকারবিহীন শুদ্ধ, শান্ত সুনিৰ্ম্মল চিত্ত হইলে দেহের আনন্দপূর্ণ কান্তি বৃদ্ধি হয় । তাহাতে প্রাণবায়ু স্বভাবগতি করাতে ভুক্ত অন্নাদি স্থজীর্ণ হইয়া ব্যাধির উৎপত্তি হয় না। অতএব তুমি এই সকল ভ্রম বিশেষ অবগত হইয়া সকল সঙ্কল্প বর্জিত, উদ্বেগশূন্য, নিৰ্ব্বিকল্প, এক অদ্বৈত অভেদ জ্ঞান দ্বারা, সৰ্ব্বদা নিৰ্ম্মল নিষ্কলঙ্ক,কেবল আপন আত্মাকে দর্শন করতঃ নির্বব্যাধিশরীর হইয়া নিত্য পরমানন্দসুখে অবস্থিত হও। জরা, মরণ, রোগ, শোক, ভয়রহিত, সূক্ষ হইতেও সূক্ষ, বাক্য ও মনের অগোচর, বুদ্ধি ইন্দ্রিয়াদির অতীত, শুদ্ধ, শুভ, সৰ্ব্বব্যাপী, সকলের কারণ, চৈতন্যস্বরূপ, সেই পরমদেবতা পরমাতাকে জানিলে সকল দুঃখ নিরাকৃত হইয়া ইহ জন্মে জীবমুক্ত, দেহান্তে বিদেহ মুক্তিপ্রাপ্ত হইবে। - রাজা কহিলেন, মুনীশ্বর । প্রত্নবাধযুক্ত, সকল সঙ্কল্পত্যাগী পরমাত্মা ব্রহ্মজ্ঞানীর চিত্ত থাকে না, যদি ইহা নিশ্চয় হয়, তাহ হইলে জীবন্ম ত্ত ব্যক্তি দৈহিক ধৰ্ম্ম আহার ব্যবহারাদি কৰ্ম্ম কিরূপে নিৰ্ব্বাহ করেন ? : চুড়াল কহিলেন, যে অশুভ বাসনা দ্বারা সাধারণ লোকে পুনঃপুনঃ জন্ম মরণরূপ মহাব্যাধিগ্রস্ত হয়, সেই মলিনবাসনারূপ চিত্ত জীবন্মুক্ত পুরুষের থাকে না, তত্ত্ববোধহীন, মূঢ় মলিনবাসনাযুক্ত যে চিত্ত, সেই পুনঃপুনঃ