পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । ○ > অন্তরে আর অন্য কিছু জানি না, এজন্য ব্রহ্মরূপ তোমাকে জানিয়া তোমার সঙ্গ গ্রহণ করিয়াছি । চুড়ালা প্রাণপতির মুখ হইতে এই প্রকার নিরুদ্বেগ বাক্য শ্রবণে মহাসন্তোষ প্রাপ্ত হইয়া, মনোমধ্যে চিন্তা করিলেন, “আহে আশ্চৰ্য্য ! এই আমার পতি ভগবান ও সাধু। ইনি ভাগ্যক্রমে এক্ষণে পরমসাম্য প্রাপ্ত হইয়। স্বপদে স্থিত হইয়াছেন। যেহেতু রাগদ্বেষ ও ভোগাদির বাসনাও রাজার মনকে কোন প্রকারে বিচলিত করিতে পারে না, অতএব এক্ষণে আমি অকৃত্রিম শরীরে আপন বৃত্তান্ত সমু দায় স্বামীকে স্মরণ করাইয়। চিরাভিলষিত বিষয় সিদ্ধ করিব। এইরূপ ধাৰ্য্য করিয়া চুড়াল সেই স্থানে ক্ষণমাত্রে স্বীয় অকৃত্রিমপুৰ্ব্ব স্ত্রীদেহ ধারণ করিলেন । নানা পক্ষিগণ প্রমুখাৎ সেই বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া মলয়ানিল যেন তুর্থায় সমাগত হইয়। চামর ব্যজন করিতে লাগিল আশ্রমস্থ বৃক্ষলতাবলী সকল আনন্দে কম্পান্বিতকলেবর হইয়া অশ্রুপতিচ্ছলে পুষ্পবর্ষণ করিতে লাগিল। ভৃঙ্গকুল নৃত্যকরণচ্ছলে ভূমিতে বিস্তৃত পুষ্পদুলিচার উপর ইতস্তত ভ্রমণকরতঃ চুড়fলার যশোগান আরম্ভ করিল। নানা পাদপ শাখাতে পক্ষিগণ আপনাপন কান্তার সহিত একত্রে বসিয়া চূড়ালার প্রীত্যৰ্থে স্বমধুর আনন্দরব প্রচার করিতে, লাগিল। আকাশে মাতৃমগুলপরিবেষ্টিত পূর্ণ নিশাকর, আপন অবয়বসদৃশ দ্বিতীয় চন্দ্ৰমূৰ্ত্তি ভূতলে উদয়প্রাপ্ত হইয়াছে W2