পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ | চুড়াল উপাখ্যান । দেখিয়া যেন নক্ষত্রগণের সহিত পরামর্শ করিবার জন্য সভা করিয়া বসিলেন। বায়ু সহযোগে অশোক, কিংশুক, চম্পক, নাগকেশর, কুন্দ, মালতী, মাধবীলতা, সরসিজ প্রভৃতি কুহুম সৌরভে সকল দিক্‌ আমোদিত হইল, আনন্দের পরিসীমা নাই। অরণ্যস্থ জল স্থলৱাসী জীবজন্তু স্থাবর জঙ্গম সমুদায়, আনন্দে মগ্ন হইয়াই যেন চূড়ালার রূপগুণের প্রতি শতশত ধন্যবাদ প্রচার করিতে লাগিল। রাজা শিখিধবদে, সেই সময়ে স্বীয় চিরপ্রণয়িনী অনিন্দিতাঙ্গী গুণবর্তী ভাৰ্য্যাকে অকস্মাৎ সম্মুখোপস্থিত দেখিয় বিস্ময়োংকল্প নয়নে অতি আশ্চৰ্য্যবোধে ক্ষণেক নিস্তব্ধ থাকিয়া, পরে কছিলেন, হে অবলে, পদ্মপত্রাক্ষি! তুমি কে? কোথা হইতে এস্থানে আগমন করিয়৷ হঠাৎ এই বনভূমিকে সমুজ্জ্বল ও শোড়ীযুক্ত করিলে। তোমার হার ভাব, কটাক্ষ, আকৃতি ও বাক্যের সোসাদৃশ্যে আমার চুড়াল ভাৰ্য্যারন্যায় তোমাকে দেখিতেছি। অতএব হে হুন্দরি, রত্তান্ত কি, যথার্থ বলিয়া আমাৰ সন্দেহ দূর কর । চূড়াল কহিলেন, হে প্রভো প্ৰাণেশ্বর : তুমি আপন স্ক মুক্তিতে যাহা জানিয়াছ, তাহাই যথার্থ বটে। তুমি যে কমিনীকে অৰ্দ্ধরাত্রি সময়ে অন্তঃপুর মধ্যে একাকিনী পালস্কোপরি পরিত্যাগ করিয়া এই বনে আসিয়া বাস করি: , ষে নারী তোমার দারুণ বিরহানলে নিদারুণরূপে ব্যথিত হইয়া তোমাকে প্রবোধপ্রদানার্থ, এই বনে আগ