পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । لك من মন করিয়া, প্রথমে কুম্ভদেহ ধারণপূর্বক পরে মদনিক নান্না তোমার ভার্য্যা হইয়াছিল, আমি সেই তোমার বিবাহিত। ভাৰ্য্যা চূড়াল। এক্ষণে নিজ অকৃত্রিম দেহধারণপূর্বক তোমার সম্মুখে প্রকাশিত হইয়াছি। হে প্রাণপতে । সম্প্রতি বেদ্য ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া মন নিৰ্ম্মল হওয়াতে তুমি প্রবুদ্ধ হইয়াছ। ধ্যান দ্বারা গত বৃত্তান্ত সকল স্মরণ করিলে কিছুই তোমার অবিদিত থাকিবে না । অনন্তী রাজা কিঞ্চিৎকাল ধ্যানে স্থিত হইয়া সমাধি দ্বার স্বরাজ্য ত্যাগ অবধি চুড়ালার নিজরূপ ধারণ পৰ্য্যন্ত সমুদায় বৃত্তান্ত জ্ঞাত হইয়া সমাধিভঙ্গপরে আনন্দাশ্রনয়নে রোমাঞ্চিত কলেবরে বাহুদ্বয় প্রসারণপূর্বক প্রিয়াকে গাঢ় আলিঙ্গন দ্বারা ক্রোড়ে বসাইয়। অপার আনন্দের সহিত কহিলেন, হে প্রিয়ে, প্রাণবস্তুভে ! যে, দুঃখেতে উত্তীর্ণ হওয়া অতি দুঃসাধ্য, এবং যাহার নিমিত্তে অনেকানেক মহামহোপাধ্যায়; মুনি ঋষিগণ যথাবিহিতু যত্ন করিয়াও সিদ্ধকাম হইতে পারেন না, এমত দুঃখরূপ মহাসমূদ্র হইতে তুমি যেরূপ বুদ্ধি কৌশলে আমাকে উদ্ধার করিয়াছ, সে বুদ্ধির উপমা নাই। সকল বিপত্তির অভ্যালয়, দুর্জয় বিষয়ৰূপ মোহসাগর হইতে তোমার ন্যায় পতিপ্রাণী সতী, জ্ঞানসিদ্ধা গুণবতী কুলস্ত্রীই ভৰ্ত্তাকে উদ্ধার করেন। হে প্রাণপ্রিয়ে! তুমি স্বকীয় জ্ঞান দ্বার ইচ্ছাশূন্য হইয়া সংসার সমুদ্রের পারপ্রাপ্ত হইয়াছ। সম্প্রতি আমার ভাগ্যক্রমে তুমি আমার