অনেক কার্য্যে সুখ্যাতি লাভ করিয়াছেন। তাঁহার মনে মনে কেমন এক প্রকার অহঙ্কার জন্মিয়াছিল। তিনি আমার কথায় হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “পুলিসের লোকে আর সাধারণ লোকে অনেক গ্রভেদ। আপনার কোন চিন্তা নাই; দেখুন না, আমি এখনই আপনার হীরা বাহির করিয়া দিতেছি।”
আমি কোন উত্তর করিলাম না, চুপ করিয়া বসিয়া কনেষ্টবল দ্বয়ের কার্য্য দেখিতে লাগিলাম। রাত্রি সাড়ে আটটা বাজিয়া গেল, তখনও হীরা বাহির হইল না। যত সময় যাইতে লাগিল, ইন্স্পেক্টর বাবু ততই গম্ভীর হইতে লাগিলেন। শেষে আর স্থির থাকিতে না পারিয়া স্বয়ং অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইলেন।
আরও আধ ঘণ্টা কাটিয়া গেল। রাত্রি নয়টা বাজিল, কিন্তু কোথাও সেই হীরা পাওয়া গেল না। কনষ্টেবলদ্বয় হতাশ হইয়া একস্থানে দাঁড়াইয়া রহিল। আমি ইনম্পেক্টারের দিকে দৃষ্টিপাত করিলাম। দেখিলাম, তিনিও গম্ভীরভাবে একটা বেতের মোড়ার উপর বসিয়া কি চিন্তা করিতেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখন কি করা যায়?”
আমার প্রশ্ন শুনিয়া তিনি আমার দিকে চাহিলেন। বলিলেন, “এই ছোট ঘরের মধ্যে ধুক্ধুকিখানি পাওয়া গেল, অথচ উহার মধ্যস্থ হীরাখানি পাওয়া গেল না; এ বড় আশ্চর্য্যের কথা! আপনি এ দোকানে কখন আসিয়াছিলেন?”
আ। বেলা পাঁচটার পর।
ই। কখন ধুকধুকিখানি হারাইয়াছিল?
আ। কখন হারাইয়াছিল, ঠিক বলিতে পারি না, তবে আমি যখন জানিতে পারি, তখন বেলা প্রায় ছয়টা।