পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
দারোগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

লইয়া বেশী দেরী করিতে পারিবেন না। যতশীঘ্র পারেন, কার্য্য সম্পন্ন করিয়া লইতে হইবে।”

 “এই বলিয়া তিনি আমাদিগকে সঙ্গে লইয়া তাঁহার বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলেন, এবং ঘরের মধ্যস্থিত একটী ঘরের ভিতর আমাদিগকে বসাইয়া, তিনি পুনরায় সেই ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন। কিয়ৎক্ষণ পরে, একটী টিনের বাক্স হস্তে সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলেন। আমরা যে ঘরের ভিতর বসিয়াছিলাম, সেই ঘরের এক পার্শ্বে একটী মৃন্ময় প্রদীপ টিপ্ টিপ্ করিয়া জ্বলিতেছিল। তিনি সেই বাক্সটী আনিয়া আমাদিগের সম্মুখে রাখিলেন, এবং উহা খুলিয়া দিয়া কহিলেন, ‘ইহার ভিতরই সমস্ত অলঙ্কার আছে।’ এই বলিয়া সেই বাক্সের মধ্য হইতে গহনাগুলি বাহির করিয়া, মৃত্তিকার উপর স্থাপন করিলেন, ও বছিরুদ্দিনকে কহিলেন, “তোমার নিকট যে তালিকাখানি আছে, তাহা বাহির করিয়া এই বাবুটীর হস্তে প্রদান কর। বাবু এই অলঙ্কারগুলির এক একখানি করিয়া সেই তালিকার সহিত মিলাইয়া দেখুন।”

 “এই বলিয়া তিনি পুনরায় ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন, এবং একবার এদিক ওদিক চতুর্দ্দিক দেখিয়া পুনরায় বাটীর ভিতর প্রবেশ করিয়া বাটীর দরজা ও যে ঘরে আমরা বসিয়া ছিলাম, সেই ঘরের দরজা ভিতর হইতে বন্ধ করিয়া দিলেন।

 “যে তালিকাখানি বছিরুদ্দিন পূর্ব্বে আমাকে দেখাইয়াছিল, সে তাহা সঙ্গে করিয়াই লইয়া গিয়াছিল। সে সেই তালিকাখানি বাহির করিয়া আমার হস্তে প্রদান করিল ও কহিল, “বেশ করিয়া গহনাগুলি এই তালিকায় সহিত মিলাইয়া দেখুন।” এই বলিয়া