পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
দারোগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

 বছিরুদ্দিন। উপায় থাকিবে না কেন?

 আমি। কি উপায় আছে?

 বছিরুদ্দিন। আমার এরূপ ক্ষমতা আছে যে, আমি সেই সকল গহনার মধ্য হইতে একখানি গহনা কোন প্রকার ভান করিয়া অনায়াসেই লইয়া যাইতে পারি। তাহার পর, তাহার অগোচরে কোন স্থানে যাচাইয়া দেখিলেই আমরা জানিতে পারিব যে, সেই গহনাখানি সোণার কি পিত্তলের। যদি উহা সোণার গহনা হয়, এবং তালিকার লিখিত মূল্য অপেক্ষা উহার মূল্য কম না হয়, তাহা হইলে এ সম্বন্ধে কোনরূপ চিন্তা করিবার আর প্রয়োজন হইবে না।

 আমি। এ উত্তম কথা, তাহা হইলে কোন গতিতে একখানি অলঙ্কার তুমি এখনই লইয়া চল।

 বছিরুদ্দিন। এ অতি সামান্য কথা।

 “এই বলিয়া বছিরুদ্দিন সেই ব্যক্তিকে ডাকিল। তাহা শুনিয়া তিনি ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলেন। তখন তাহাকে সম্বোধন করিয়া বছিরুদ্দিন কহিল, “আমি আপনাকে আর একবার একটু কষ্ট দিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি।”

 সেই ব্যক্তি। কিরূপ কষ্ট প্রদানে ইচ্ছা করিতেছ?

 বছিরুদ্দিন। যে গহনাগুলি আমরা এখনই দেখিলাম, সেই গহনাগুলি আমরা আর একবার দেখিতে চাই।

 সেই ব্যক্তি। কেন?

 বছিরুদ্দিন। একটু সবিশেষ প্রয়োজন আছে।

 সেই ব্যক্তি। কখন দেখিতে চাও?

 বছিরুদ্দিন। এখনই।