পাতা:চেরী - সুনীতকুমার মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজনে গাছ ‘সুতিমা'—, তুমি ডাক্তারি পড়ছ শুনলাম। আশ্চর্য হইনি। একথা তুমি আগেই বলেছিলে । আমি এখন বীরভূমের কীর্ণহারে। মাইনর স্কুলে মাস্টারি করি। মনে পড়ে, সেই সজনে গাছটাকে নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছিলাম তুমি হেসে বলেছিলে— “সজনে শাকে সুস্বাদু ব্যাঞ্ছন হয়, এ নিয়ে কাব্য কেন ?” সেই সজনে গাছটা এখনও আছে, সে এখন অনেক রূপসী । তার পাশে সুপুরির গাছ ছিল। মনে পড়ছেন ? ঠিক তার পাশে পাবলিক প্রসিকিউটারের স্ত্রী হেন হালদার থাকত । সুতিমা'—, শুনলাম তুমি এখন নামকরা লেডী ডক্টর। আমি কীর্ণহার থেকে বোলপুরে এসেছি। সন্ধ্য হচ্ছে কোপাইয়ের তীরে । একট। বাউড়িয়া ছেলে গুলতি দিয়ে বক মারে কোপাইয়ের চরে। বকের ডানা দুটো ঘন রক্তে লাল হয়ে যায় । পাহাড়পুরের অরণ্য গভীরে স্বর্য অস্ত। সজনে গাছটার ঝুরি সন্ধ্যার হাওয়ায় কঁপিছে। সবুজ সজনের ডালে স্বর্য লাল রঙ গোলে। জানিনা, সুতিমা ডাক্তারি করছে কিসে ? ক্ষত বিক্ষত বকের মাংসে, কিংবা স্বর্যের দিগন্ত প্রসারী অস্তমিত লালে । ○ア