পাতা:ছড়া-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছড়া

কেম্ব্রিজ খালি হল, আসে সব স্কলারে—
কী ভীষণ হাড়কাটা করাতের ফলা রে।
বিজ্ঞানীদল এল বর্লিন ঝাঁটিয়ে,
হাত-পাকা জন্তুর-নাড়ীভুঁড়ি-ঘাঁটিয়ে।
জজ বলে, বিড়ালটা কী রকম জানা চাই,
আইডেন্‌টিটি তার আদালতে আনা চাই।
বিড়ালের দেখা নাই—ঘরেও না, বনে না,
মিআঁউ আওয়াজটুকু কেউ আর শোনে না।
জজ বলে সাক্ষীরে কোন্‌খানে ঢুকোলাে,
অত বড় লেজের কি আগাগােড়া লুকোলে।
পেয়াদা বললে, লেজ গেছে মিউজিয়মে
প্রিভিকৌঁসিলে-দেওয়া আইনের নিয়মে।
জজ বলে, গোঁফ পেলে রবে মাের সম্মান
পেয়াদা বললে, তারাে নয় বড়াে কম মান,
মিউনিকে নিয়ে গেছে ছাঁটা গোঁফ যত্নেই,
তারে আর কোনােমতে ফেরাবার পথ নেই।
বিড়াল ফেরার হল, নাই নামগন্ধ—
জজ বলে, তাই বলে মামলা কি বন্ধ।
তখনি চৌকি ছেড়ে রেগে করে পাচারি,
থেকে থেকে হুংকারে কেঁপে ওঠে কাছারি।
জজ বলে, গেল কোথা ফরিয়াদী আসামী!
হুজুর-পেয়াদা বলে, বেটাদের চাষামি!

২৫