পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন আমি বললেই তুমি রাজী হবে। হারাণবাবুর ইচ্ছা নয় তোমাকে রাখেন। লক্ষ্মী বলছিল, কাল নাকি উনি আরেকজনকে লাগিয়ে দেবেন। তবে তুমি যদি সকাল সকাল গিয়ে পড়াতে আরম্ভ করে দাও। তাহলে অবশ্য তোমাকেই রাখতে হবে। তৃপ্তি হাসে, কি আগ্রহ লক্ষ্মীর । কবিরা কি দিয়ে মানুষ বশ করে বল তো ?

যা দিয়ে কবিতা লেখে ।

তৃপ্তি স্থির চোখে চেয়ে মাথা নাড়ে, না, কবিরা একধরণের পাগল বলে। নইলে দ্যাখে না, শুধু কবির বেলা মেয়ের উপযাজিকা হয়। মেয়েরা জানে তা ছাড়া উপায় নেই। এত বোকা কবিরা যে অনেক সময় প্ৰায় সোজাসুজি স্পষ্ট করে বললেও বুঝতে পারে না মনের কথাটা ।

বুঝতে পারে। কবিরা আসলে স্বার্থপর নয়। অন্যেরা ওৎ পেতে থাকে, কোনরকমে প্ৰিয়াকে পেলেই হলো । মেয়েদের তাই মুখ খুলতে হয় না, পুরুষরাই এসে ধন্না দেয়। কবির সস্তা সুযোগ চায় না, পেলেও নেয় না । মেয়েদেরও তো ভুল হয় ? সাময়িক ঝোক আসে ? কবিদের সব বুঝতে হয়। নইলে কবি কিসের ?
এত হিসেবী কবিরা ? হিসেব কষে, ওজন করে, কিষ্টিপাথরে ঘষে

»VS)