পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন না তুলেই সে চলে গেছে। অবশ্য মুখে না বললেও সে কি বলতে চেয়েছিল বুঝতে কষ্ট হয় নি। আমার দেহেমনে কবি হওয়ার প্রক্রিয়ার প্রভাব দেখে ভয় পেয়ে সে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সঁপে দিতে চায়— তাকে অবলম্বন করে এই মারাত্মক কাব্যাত্মিক রোগটা যদি সামলাতে পারি। দমে গিয়েও শেষ পর্যন্ত তৃপ্তি ছাড়ে নি, কথা স্পষ্ট করে। গেছে। কোন বিষয়ে মন স্থির করে ফেললে সহজে সে হাল ছাড়ে না, অল্পে বিচলিত হয় না । বৌদির প্রশ্ন আসে : এখন খাবে কি ? না ভাত ঢাকা থাকবে ?

সবে দশটা বেজেছে। ভাত ঢাকাই থাক । কিন্তু এখন কি করা যায় ? জীবনে আজ প্ৰথম অনুভব করি আমার কিছু করার নেই। কবিতা লেখা, বই পড়া, ঘুমানো, খোলা ছাতে গিয়ে পায়চারি করা- কোন কাজে মন বসবে না । সব যেন উদ্দেশ্যহীন, অর্থহীন হয়ে গেছেচুপচাপ বসে ভাবারও কোন মানে হয় না।

বুকটা কেঁপে যায়। আমি তো এরকম নই। আমিত্ব নিয়ে এরকম বিপন্ন হওয়ার কথা তো আমার নয় । নিজের কবিতাগুলি পড়ব ? তাতেই বা কি হবে । নিজে পড়ে মশগুল হওয়ার জন্য তো কবিতা লিখি না। আমি। আলেয়াদের বাড়ী গিয়ে নতুন কবিতাটা শুনিয়ে আসঁধ f দেখে আসিব ওদের কি প্ৰতিক্রিয়া হয় ? যদি সন্ধান পেয়ে SVG