পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন লক্ষ্মী আর লক্ষণ- আমার ছাত্রী আর ছাত্র । বাপ অসত্য উপায়ে পয়সা রোজগার করলে সাতবছরের মেয়ে আর ছ’বছরের ছেলে পৰ্যন্ত কেন আর কি ভাবে এমন অসভ্য "হয়, সেবার সেটা টের পেয়েছিলাম। সব আছে প্রচুর পরিমাণে, না চাইতে সব পেয়ে যায়,— তবু কচি কচি মন দু’টি যেন হিংসার আড়ত। মিথ্যা কথা মুখে লেগেই আছে— কারণে এবং অকারণেও। রাগ হলেই চরমে উঠে যায়— রাগবার জন্যে সর্বদাই যেন দু’জনে উদ্যত হয়ে থাকে। এদিকে এত ভীরু যে জাগ্ৰত অবস্থায় ঘর এক মুহুর্তের জন্য অন্ধকার করলে হাউ মাউ করে ওঠে— ঘরে যত লোকই থাক । মাইনেটা মোটা— কাজটাও প্রাণান্তকর। সে হিসাবে বেশী নয় মোটেই । যতই দুরন্ত হোক শাসনের নিষ্ঠুরতা দিয়ে ছেলেমেয়েকে দমন করা আমার মতে পাপ— ঘরোয় দমননীতি মনুষ্যত্বের গোড়া আলগা করে দেয় । কিন্তু এরা দু’জন দুরন্ত নয়, বিকারগ্ৰস্থ | বিকৃত অস্বাভাবিক পরিবেশ এদের বিগড়ে দিয়েছে। মনে পড়ে, দ্বিতীয় দিনেই পড়ার সময় লক্ষ্মীর হাতের পুতুলটা কেড়ে নিতে যাওয়ায় সে কামড়ে আমার হাত থেকে রক্ত বার করে দিয়েছিল । দুদিনেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল আমার সমস্যা। হয় S b7°