পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন৷ ঘুরিয়ে দিতে আসি নি। এতদিন যে ভাবে ওদের দিন কেটেছে, যে ভাবে ওরা বড় হয়েছে, তেমনিভাবেই ওদের দিন কাটবে, তেমনিভাবেই ওরা বড় হবে- সাময়িকভাবে দুদিনের জন্য জের টেনে চলা ছাড়া কিছুই আমার করার নেই । আমার নিষ্ঠুরতা নতুন কিছুই হবে না। ওদের কাছে। আগের দিন সখ করে একখানি ভুজালি কিনেছিলাম। পরদিন ছাত্রছাত্রীর প্রথম অবাধ্যতায় আসুরিক ক্রোধের অভিনয় করে সেই চকচকে ভুজালি দিয়ে যখন কেটে ফেলে দিতে গিয়েছিলাম দু’জনের গলা, আতঙ্কে কেঁদে উঠতে গেলে সেই ভুজালির ভয় দেখিয়েই যখন থামিয়ে দিয়েছিলাম কান্না— লক্ষ্মীর তখনকার মুখের ছবি আমার মনে 5िद्रएङ4द्र ऊँाका ठूgशू ८ोgछ । এই ছবিরই প্ৰতিচ্ছবি একদিন দেখেছিলাম মানসীর भूएथ । বুকে আঁচড় লেগেছিল। কিন্তু অনুতাপ করি নি। সংসার চিরদিন যা দিয়ে এসেছে শিশু দু’টিকে, আমিও সেটুকুই দিয়েছি তাদের। প্ৰতিকার বা প্রতিরোধের প্রশ্নও छिब्ल •ा । লক্ষ্মী বা লক্ষণের কিছুমাত্র লাভ বা লোকসান হয় নি আমার ব্যবহারে । আমার দিক থেকে অতি কঠিন একটা কাজ আমাকে করতে হয়েছিল, এইমাত্ৰ । RR