পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন সত্যই এদের বড় খাটুনি। সকাল থেকে রাত ন’টা পৰ্যন্ত ‘তার খাটুনি বাইরে, তারপর এই ঘরটুকুতে শ্বশুর শাশুড়ী। শালা শালীদের সঙ্গে বেী নিয়ে রাত্রিযাপনের অমানুষিক খাটুনি। এদের খাটুনিও কি কম ? এতটুকু ঘরে মানুষের যেখানে নড়াচড়াটা পৰ্যন্ত অসুবিধার সঙ্গে যুদ্ধের পরিশ্রম, সারাটা। দিন রাত সেখানে কাটানো ? সকলে কি ভাবে যেন চুপ হয়ে গেছে। রামেশ্বর সার্ট গায়ে দিয়ে বাইরে যাবার জন্য প্ৰস্তুত হয়ে দাড়িয়ে আছেন। বোঝা যায়, এমন একটা সাংসারিক কথার মধ্যে আমি এসে পড়েছি আমার সামনে যে কথার জের টানা কঠিন। কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। কারণ একটু ইতস্ততঃ করে অলোকের মা রামেশ্বরকে বলেন, তাই কর। তবে । চাল, আর তরকারীই আনে। শুধু চাল চিবিয়ে তো খাওয়া द6द व्ा । রামেশ্বর বলেন, আলোকের জন্য আর খানিকটা দেখাব ? : কি দরকার ? পাবে কিনা ঠিক তো নেই। বেলা কম হয় নি। আলেয়া প্ৰায় বাকি দিয়ে মাথা তুলে আমার দিকে তাকায় । সোজাসুজি আমাকে জানিয়ে দেয়া ব্যাপারটা কি । বলে, সের দুই চাল কিনলে তারকারীর পয়সা থাকে না । চাল আর তরকারী ভাগাভাগি করে কিনলে শুধু আজকের 《戈