পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন সঙ্কীর্ণ স্বার্থ শাণায়- সেও নিজের মত করে জানে যে যোগসাধনার মতই কাব্যসাধনারও নিয়মনীতি আছে, যা না মানলে মুস্কিল হয়! সেও বোঝে যে আভ্যন্তরীণ জগৎটা বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্কহীন নয় ! শুধু জানাবোঝা নয়, একজন আত্মবিস্মৃতি বিপন্ন কবিকে অতি কঠিন মুহুর্তে সামলে নিয়ে ধাতস্ত করতেও পারে! কি ভাবে যে ধীরে ধীরে জুড়িয়ে শান্ত হয়ে আসে চারিদিক ৷ এক শান্তিময় গভীর অবসাদ অনুভব করি । ক্ৰমে ক্রমে স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর ভাবে টের পাই আমার সমগ্ৰ সত্তা কোন অবৰ্ণনীয় অসহনীয় অবস্থা লাভ করেছিল— সাধারণ অবস্থার চেতন-অনুভূতির সঙ্গে তার কেমন আকাশপাতাল তফাৎ ৷ শান্ত স্বাভাবিক হবার আগে এটা টেরও পাই নি । মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এই অবস্থান্তর। মনে পড়ে, কেন কবিতা লিখি এই প্রশ্নের একটা জবাব , নিজের কাছে খুজে পাবার জন্য ব্যাকুল হবার পর দেহমানে একটা অদ্ভুত তন্ময়তার ভাব নেমে আসছে অনুভব করেছিলাম। জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা, চেনা অচেনা সমস্ত মানুষ আর বিচিত্ৰ প্ৰকৃতির সঙ্গে নিবিড় আত্মীয়তা । আমার ইচ্ছাই নিয়ন্ত সব কিছুর ! আমার আনন্দে জগৎ আনন্দময়, আমায় বেদনায় বিশ্বংসার বিষন্ন নিঝুম । ছাতের কোণার আবর্জনার ছোট । у о