পাতা:ছন্দপতন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছন্দপতন৷ “তার একার নয়, নালিশটা মেয়েটির বিরুদ্ধে নয়। বড়লোকের বাড়ী মেয়েটির কাজ জুটেছে এতো একটা রুঢ় বাস্তব সত্যের এ-পিঠা মাত্র। এ সত্যের ওপিঠও আছে এবং সতীশদের সেটা অজানা নয়। যে কারণে তাদের পোড়া কপাল আর খোলে না। সেই কারণেই মেয়েটিকে এভাবে কাজ জুটিয়ে নিতে হয় ! সতীশদের যদি বিড়ি বানানো শিখতে না হত, মেয়েটিরও এরকম কাজ জুটে যাবার সুযোগটা আঁকড়ে ধরার প্রয়োজন • হত না । হয় তো ওই সতীশের অন্তঃপুরেই সে অন্য বেশে হাসি মুখে অন্য কাজ করত— তার নিজের সংসারের কাজ। হারাণবাবুর বাড়ী পৌছে সামনের বারান্দায় দাড়িয়ে অবনীর সঙ্গে মেয়েটিকে কথা বলতে দেখে বুঝতে পারি এই বাড়ীতেই আমার পূর্বতন ছাত্রী লক্ষ্মীকে গান শেখাবার কাজ সে পেয়েছে। কাজ পেয়েছে বলেই এতটুকু পথ সে এসেছে বাসে এবং আমার চেয়ে আগে এসে পৌচেছে। অবনীকে প্রশ্ন করি ; আমায় ডেকেছেন কেন ? অবনী বলে, আমি জানি না । অগত্যা ভেতরে একটা খবর পাঠিয়ে বাইরের ঘরে ख्धg*क्रा कत्रि । শুনি মেয়েটি অবনীকে বলছে, আমার গানের বিদ্যা সামান্য । বাড়ীর মেয়েরা দু’দিনে টের পেয়ে গেছেন । Q R