এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মিল ও ছন্দ
কবিতা লিখ্তে যেমন ছন্দের দরকার, মিলের দরকার ঠিক ততখানিই। খুব সুন্দর ছন্দের আর গভীর ভাবের কবিতাতেও যদি মিলের দোষ থাকে তবে তা’ ঠুটো-কার্ত্তিকের মতোই অশোভন হ’বে। খারাপ মিলের সুছন্দ-কবিতা ঠিক পরমা-সুন্দরী রাজকুমারী—যেন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চল্ছেন, সুরূপা নর্ত্তকীর অপরূপ নাচে যেন নূপুর ঠিক মতো বাজ্ছে না। কাজে কাজেই ভালো কবিতার প্রধান অঙ্গ যেমন ছন্দ, তেমনি ভালো মিলও অবশ্য দরকার। ওস্তাদের বীণার ঝঙ্কারের সঙ্গে পাখোয়াজের বোল্ ঠিক সমান তালেই চলা দরকার, না হলে রসিক শ্রোতা সভা ছেড়ে চলে আসবেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে—ভালো ‘মিল’ কাকে বলে! দুই একটা উদাহরণ দিলেই তোমরা কিছুটা বুঝ্তে পারবে হয় তো। দুই একজন প্রাচীন গ্রাম্য কবির কবিতা দিয়ে দৃষ্টান্ত দেই:—
৫৪