এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছন্দের টুং টাং
“ত্রিভঙ্গ হইয়ে বাঁশীটি বাজায়ে
বসিয়া কদম্ব-মূলে—
রাধা রাধা বলে’ ডাকিতে ডাকিতে
আসিব যমুনা-জলে।”
এখানেও আমরা “মূলে”র সঙ্গে “জলে”র মিল পাচ্ছি। প্রাচীন কবিটির যদি ভালো. মিল-জ্ঞান থাক্তো তবে তিনি “মূলে”র সঙ্গে অনায়াসেই এখানে “কূলে” কথাটা বসিয়ে মিল বজায় রাখতে পারতেন।
আজকালকার ভালো লেখকদের কবিতায় তোমরা রাশি রাশি ভালো ‘মিল’ দেখ্তে পাবে। যিনি ছন্দ আর ভাব বজায় রেখে মিলের যত বাহাদুরী দেখাতে পারেন—তিনি রসিক সমাজে হাততালি পান তত বেশী।
অনেক ছেলেমেয়ে আমাকে প্রশ্ন করেছে—কবিতা লিখ্তে অক্ষর গুণ্তে হয় নাকি! তার উত্তরে আমি বলি-কবিদের অক্ষর গুণ্তে হয় না। জ্যোৎস্না যেমন চাঁদ ছুঁয়ে নেমে আসে,—কবিতাও তেমনি কবির ভাবুক-হৃদয় থেকে বেরিয়ে
৫৬