৩
...তব চিত্তগগনের দূর দিক্সীমা
বেদনার রাঙা মেঘে পেয়েছে মহিমা।
এখানে ‘দিক্’ শব্দের ক্ হসন্ত হওয়া সত্ত্বেও তাকে একমাত্রার পদবি দেওয় গেল। নিশ্চিত জানি পাঠক সেই পদবির সম্মান স্বতই রক্ষা করে চলবেন।
মনের আকাশে তার দিক্সীমানা বেয়ে
বিবাগী স্বপনপাখি চলিয়াছে ধেয়ে।
অথবা
দিগ্বলয়ে নবশশিলেখা
টুক্রো যেন মানিকের রেখা।
এতেও কানের সম্মতি আছে।
দিক্প্রান্তে ওই চাঁদ বুঝি
দিক্-ভ্রান্ত মরে পথ খুঁজি।
আপত্তির বিশেষ কারণ নেই।
দিক্প্রান্তের ধূমকেতু উন্মত্তের প্রলাপের মতো
নক্ষত্রের আঙিনায় টলিয়া পড়িল অসংগত।
এও চলে। একের নজিরে অন্যের প্রামাণ্য ঘোচে না।
কিন্তু যাঁরা এ নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা একটা কথা বোধ হয় সম্পূর্ণ মনে রাখছেন না যে, সব দৃষ্টান্তগুলিই পয়ারজাতীয় ছন্দের। আর এ-কথা বলাই বাহুল্য যে, এই ছন্দ যুক্তধ্বনি ও অযুক্তধ্বনি উভয়কেই বিনা পক্ষপাতে একমাত্রারূপে ব্যবহার করবার সনাতন অধিকার পেয়েছে। আবার যুক্তধ্বনিকে দুইভাগে বিশ্লিষ্ট করে তাকে দুইমাত্রায় ব্যবহার করার স্বাধীনতা সে যে দাবি করতে পারে না তাও নয়।