হসন্ত শব্দ পরবর্তী স্বর বা ব্যঞ্জন শব্দের সঙ্গে মিলে যায়, মাঝখানে কোনো স্বরবর্ণ তাদের ঠোকাঠুকি নিবারণ করে না। কিন্তু বাঙালি বরাবর সহজেই ‘মহাভারতে- র্কথা’ পড়ে এসেছে, অর্থাৎ ‘তে’র এ-কারকে দীর্ঘ করে আপসে মীমাংসা করে দিয়েছে।[১] তারপরে ‘পুণ্যবান্’ কথাটার ‘পুণ্যে’র মাত্রা কমিয়ে দিতে সংকোচ করেনি, অথচ ‘বান্’ কথাটার আক্ষরিক দুই মাত্রাকে টান এবং যতির সাহায্যে চার মাত্রা করেছে।[২]
৪। ‘নিভৃত প্রাণের দেবতা’— এই গানের ছন্দ তুমি কী নিয়মে পড় আমি ঠিক বুঝতে পারছিনে। ‘দেবতা’ শব্দের পরে একটা দীর্ঘ যতি আছে সেটা কি রাখ না। যদি সেই যতিকে মান্য করে থাক তাহলে দেখবে, ‘দেবতা’ এবং ‘খোল দ্বার’ মাত্রায় অসমান হয়নি। এসব ধ্বনিগত তর্ক মোকাবিলায় মীমাংসা করাই সহজ। লিখিত বাক্যের দ্বারা এর শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব হবে কিনা জানিনে। ছাপাখানাশাসিত সাহিত্যে ছন্দোবিলাসী কবির এই এক মুশকিল—নিজের কণ্ঠ স্তব্ধ, পরের কণ্ঠের করুণার উপর নির্ভর। সেইজন্যেই আমাকে সম্প্রতি এমন কথা শুনতে হচ্ছে যে, আমি ছন্দ ভেঙে থাকি, তোমাদের স্তুতিবাক্যের কল্লোলে সেটা আমার কানে ওঠে না। তখন আকাশের দিকে চেয়ে বলি, ‘চতুরানন, কোন্ কানওয়ালাদের ’পরে এর বিচারের ভার’।
৫। ‘আজি গন্ধবিধুর সমীরণে’— কবিতাটি সহজ নিয়মেই পড়া উচিত। অবশ্য এর পঠিত ছন্দে ও গীত ছন্দে প্রভেদ আছে।
৬।‘জনগণমন অধিনায়ক’ গানটায় যে মাত্রাধিক্যের কথা বলেছ