অর্ধের ষষ্ঠ পর্বটি একমাত্রক বলে স্বীকার্য। সুতরাং এর মোট মাত্রাসংখ্যা সাতাশ।
৪। প্রথম বা দ্বিতীয় কোনো অর্ধেই অযুগ্মসংখ্যক পর্বগুলি মধ্যগুরু (| || |) হতে পারে না। কিন্তু প্রথমার্ধের ষষ্ঠ পর্বটি মধ্যগুরুই হওয়া চাই, বিকল্পে চতুর্লঘু হতে পারে।
যে আর্যা ছন্দের উভয়ার্ধেই তৃতীয় পর্বের অর্থাৎ বার মাত্রার পরে যতি থাকে তার বিশেষ নাম পথ্যার্যা| আর যে আর্যার কোনো এক অর্ধে বা উভয়ার্ধে সাড়ে তিন পর্বের অর্থাৎ চোদ্দ মাত্রার পরে যতি পড়ে তার নাম বিপুলার্যা। আর্যার আরও বহু রূপভেদ আছে। তার মধ্যে পথ্যার্যার প্রয়োগই দেখা যায় সব চেয়ে বেশি। পথ্যার্যার দৃষ্টান্ত—
| || |
আ পরি | তোষাদ্ | বিদুষাং || ন সাধু | মন্যে | প্রয়োগ | বিজ্ঞা | নম্।
|
বলবদ | পি শিক্ষি | তানাম্ || আত্ম- | ন্যপ্র- | ত্য | য়ং চে | তঃ।
উভয়ার্ধেই শেষ ধ্বনিটি দ্বিমাত্রক। শুধু সংস্কৃতে নয়, প্রাকৃতেও আর্যার বহুল প্রয়োগ দেখা যায়। আর্যা ছন্দে পাদবিভাগের অসমানতা তথা যতিস্থাপনের স্বাধীনতা এ ছন্দকে অনেকাংশে গদ্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছে (পৃ ১৫৩, ১৫৭)।
উপপর্ব—দ্রষ্টব্য ‘পর্ব’।
একতালা—দ্রষ্টব্য ‘তাল’।
কলা (পৃ ৯৬)—একটি লঘুধ্বনি উচ্চারণ করতে যে সময় লাগে, সংস্কৃত ও প্রাকৃত ছন্দশাস্ত্রে তাকেই বলা হয় কলা। সংস্কৃত ও প্রাকৃতে এই কলাই মাত্রারূপে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ কলাসংখ্যা দ্বারাই ছন্দোগত ধ্বনি পরিমিত হয়। তাই ‘চতুষ্কল গণ’ বলতে বোঝায় চতুর্মাত্রক পর্ব। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু এই শব্দটিকে অন্য অর্থে ব্যবহার করেছেন। তিনি সাধারণত পর্বকেই