পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১০
ছন্দ

 হসন্ত-হলন্ত (পৃ ৫২)— পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণের সাংকেতিক পরিভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণকে বলা হয় হল্। আর বোপদেবের মুগ্ধবোধ ব্যাকরণের মতে ব্যঞ্জনবর্ণের সাংকেতিক নাম হস্। সুতরাং হসন্ত ও হলন্ত অভিন্নার্থক শব্দ, দুএরই মানে ‘ব্যঞ্জনান্ত’। বাংলাদেশে মুগ্ধবোধেরই চল বেশি। তাই হসন্ত শব্দটিই অধিকতর পরিচিত ও প্রচলিত। এই সুযোগে রবীন্দ্রনাথ অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত হলন্ত শব্দটিকে স্বরান্ত অর্থে গ্রহণ করেছেন[১] (পৃ ৪৯)। পাণিনির পরিভাষায় স্বরান্তকে বলা হয় ‘অজন্ত’।

  1. দ্রষ্টব্য বিচিত্রা, ১৩৩৯ ভাদ্র, পৃ ১৬১ এবং আশ্বিন, পৃ ৪২৯।