সংগীত ও ছন্দ ২৩
নয়নে আখিজল করিবে ছলছল হুখবেদন] মনে বাজিবে।
মরমে মুরছিয়া মিলাতে চাবে হিয়া নেই চরপযুগ্র-রাজীবে।
ইহার প্রথম ছুই লাইনে মাত্রা ভাগ ৩+৪+৩-১০। তৃতীয় লাইনে ৩+৪+৩+৪-১৪। আমার মতে এই বৈচিত্রো ছন্দের মিষ্টতা বাড়ে। অতএব উৎসাহ করিয়া গান ধরিলাম | কিন্ত এক ফের ফিরিতেই তালওয়ালা পথ আটক করিয়া বসিল । এস বলিল, "আমার সমের মাশুল চুকাইয়া দাও।” আমি তো বলি এটা বে-আইনি আবোয়াব। কান মহারাজার উচ্চ আদালতে দরবার করিয়া খালাস পাই । কিন্ত সেই দরবারের বাহিরে খাড়া আছে মাঝারি শাসনতন্ত্রে দারোগা । সে খপ করিয়া হাত চাপিয়! ধরে, নিজের বিশেষ বিধি খাটায়, রাজার দোহাই মানে না। কবিতায় যেটা ছন্দ, সংগীতে সেইটেই লয়। এই লয় জিনিসটি স্থট্টি ব্যাপিয়া আছে; আকাশের তারা হইতে পতঙ্গের পাখা পর্যস্ত সমস্তই ইহাকে মানে বলিয়াই বিশ্বসংসার এমন করিয়া চলিতেছে অথচ ভাঙিয়া পড়িতেছে না । অতএব কাব্যেই কি গানেই কি এই অয়কে যদি মানি তবে তালের সঙ্গে বিবাদ ঘটিলেও ভয় করিবার প্রয়োজন নাই । একটি দৃষ্টান্ত দিই ।-- ব্যাকুল বকুলের ফুলে আমর মরে পথ ভুলে ।
আকাশে কী গোপন বাণী
বাতাস করে কানাকানি,
বনের অঞ্চলখাঁনি
পুলকে উঠে ছুলে ছুলে।