৬ ছ্দ্ৰ
স্বপনে ওড়ে কোন্ দেশে উদাস মোর প্রাণ-পাঁখি। কখন তার রথ আদে বাকুল হয়ে জাগে আখি।
[এও তো আরেক ছন্দ। ইহার লয় পাচে চারে মিলিয়া। আবার এইটেকে উলটাইয়া দিয়া চারে পাঁচে করিলে নয়ের ছন্দকে লইয়া নয়-ছয় করা যাইতে পারে। ] চৌতাল তো বারে! মাত্রার ছন্দ। কিন্তু এই বারো মাত্র! রক্ষা করিলেও চৌতালকে রক্ষা করা যায় না এমন হয়। “এই তো বারো মাত্রা ।__-
বনের পথে পথে বাজিছে বাঁয়ে নূপুর রুনুরুত্ু কাহার পায়ে। কাটিয়া যায় বেলী মনের ভুলে, বাতা উদীসিছে আকুল চুলে, অ্রমর মুখরিত বকুলছাঁয়ে নৃপুর রুন্ুরুমু কাহার পায়ে।
ইহা চৌতালও নহে, একতালাও নহে, ধামারও নয়, ঝাপতালও নয়। লয়ের হিসাব দিলেও তালের হিসাব মেলে না। তালওয়াল! সেই গরমিল লইয়! কবিকে দায়িক করে।
কিন্তু হাল আমলে এ সমন্ত উৎপাত চলিবে না। আমরা শাসন মানিব, তাই বলিয়া অত্যাচার মানিব না। কেননা যে-নিয়ম সত্য সে-নিয়ম বাহিরের জিনিস নয়, তাহা বিশ্বের বলিয়াই তাহা আমার আপনার । যে-নিয়ম ওন্তাদের তাহা আমার ভিতরে নাই, বাহিরে আছে; স্থৃতরাং তাকে অভ্যাস করিয়া বা ভয় করিয়া বা দায়ে পড়িয়া মানিতে হয়। এই রূপ মানার দ্বারাই শক্তির বিকাশ বন্ধ হইয়া যায়। আমাদের সংগীতকে এই মানা হইতে মুক্তি দিলে তবেই তার স্বভাব তার স্বরূপকে নব নৰ উদ্ভাৰনার ভিতর দিয়া বাক্ত করিতে থাকিবে ।
লবুজপত্র--১৩২৪ ভাদ্র