পাতা:ছন্দ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩০
ছন্দ
৩০

ডঃ ছা

জানেন । হট পাথির মধো একাটিকে যখন ব্যাধ মারলে তন বারাীকি মনে ফেব্বাথ। পেলেন সেই বাখাকে ধোক রীয়ে না জানিয়ে তার উপায় ছিল না। যে-পাধিটা মার! গেল এবং আর যে-একটি পাখি তার জন্তে ক্লাধল তারা কোন্কালে লুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এই নিদারুণতার ব্যখাটিকে তো কেবল কালের মাপকাঠি দিয়ে মাপা যায় না। সে. যে অনন্তের বুকে বেজে রইল। সেই জন্তে কবির শাপ ছন্দের বাহনকে নিয়ে কাল থেকে কালাস্তরে ছুটতে চাইলে । হায়রে, আজও সেই ব্যাধ নানা অস্ত্র হাতে নান! বীভৎসতার মধ্যে নানা দেশে নানা আকারে ঘুরে বেড়াচ্ছে । কিন্ত সেই আদিকবির শাপ শাশ্বতকালের কে ধ্বনিত হয়ে রইল। এই শাশ্বতকালের কথাকে প্রকাশ করবার জন্তেই তো ছন্দ।

আমর! ভাষায় বলে থাকি, কথাকে ছন্দে বাধা। কিন্তু এ কেবল বাইরে বাধন, অন্তরে মুক্তি। কথাকে তার জড়ধর্ম থেকে মুক্তি দেবার জন্তেই ছন্দ। সেতারের তার বাধা থাকে বটে কিন্ত তার থেকে সুর পায় ছাড়া । ছন্দ হচ্ছে সেই তার-বাধা সেতার, কথার অন্তরের স্থুরকে সে ছাড়। দিতে থাকে। ধনুকের সে ছিলা, কথাকে মে তীরের মতো লক্ষ্যের মর্মের মধ্যে প্রক্ষেপ করে।

গোড়াতেই ছন্দ সম্বন্ধে এতথানি ওকালতি করা হয়তো বাছল্য বলে অনেকের মনে হতে পারে। কিন্তু আমি জানি এমন লোক আছেন ধার! ছন্দকে সাহিত্যের একটা কৃত্রিম প্রথা বলে মনে করেন । তাই আমাকে এই গোড়ার কথাটা বুঝিয়ে বলতে হল যে, পৃথিবী ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার ঘূণিলয়ে তিনশো পরযটি' মাত্রার ছন্দে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, সেও যেমন কৃত্রিম নয়, ভাবাবেগ তেমনি ছন্দকে আশ্রয় করে আপন গতিকে প্রকাশ করবার যে চেষ্টা করে সেও তেমনি রুত্রিম নয়।