ছন্দের অর্থ ৪৭
এর প্রথম ভাগে আট, দ্বিতীয় ভাগে সাত, তৃতীয় ভাগে সাত, এবং চতুর্থ ভাগে চার১ মাঙ্জা। এমনতরো ভাগে কানের কোনো সংকীর্ণ অভ্যাস হবার জে! নেই।
ংস্কতের সঙ্গে সাধু বাংলা সাহিত্োর ছন্দের ষে-একটি বিশে গ্রভেদ আছে সেইটির কথা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক। সংস্কৃত উচ্চারণের বিশেষত্ব হচ্ছে তার ধ্বনির দীর্ঘহুম্বতা। সেইজন্ সংস্কৃত ছন্দ কেবলমাত্র পদক্ষেপের মাত্রা গণন1 করেই নিশ্চিন্ত থাকে না, নির্দিষ্ট নিয়মে দীর্ঘহম্থ মাত্াকে সাজানো তার ছন্দের অঙ্গ। আমি একটি বাংলা বই থেকে এর দৃষ্টান্ত তুলছি। বইটির নাম “ছন্দঃকুহ্থম?। আজ চুয়ান্ন বছর পূর্বের এটি রচনা২ | লেখক ভুবনমোহন রায়চৌধুরী -রাধাকৃষ্ণের লীলাচ্ছলে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ছন্দের দৃষ্টান্ত দিয়ে ছন্দ শিক্ষা দেবার চেষ্টা করেছেন। কুঞ্চবিরহিণী রাধা কালো রংটারই দুষণীয়তা প্রমাণ করবার জন্তে যখন কালো কোকিল কালো ভ্রমর কালো পাথর কালো লোহার নিন্দা করলেন তখন অপর পক্ষের উকিল লোহার দোষ ক্ষালন করতে প্রবৃত্ত হলেন।
(11 111 111 111 011 811 011 111 দেখহ হুন্দর লৌহর- থেচড়ি লৌহপ- খেকত লোক চ- লে. .,
ষষ্ট মু হুর্তক মধ্যক- রেগতি যৌজন পঞ্চদ- শেরপ- থে,,।
লৌহবি- নির্গিত তার ত- রেবহ দূরঅ- বস্থিত লোক স- বে*:,
দূর অ- বস্থিত বন্ধু নেক্গুখ- চিত্ত প- রম্পর বাক্যক- হে. &৩ এই কবিতাটির যুক্তি ও আধ্যাত্মিক বসমাধুর্ষের বিচারভার আধুনিককালের বস্ততান্ত্রিক উকিল রসিকদের উপর অর্পণ করা গেল। তা ছাড়া লোকশিক্ষায় এর প্রয়োজনীয়তার তর্ক তোলবার অধিকারী
১. চীর নয়, পাচ। গ্রস্থপরিচয় জষ্টব্য | ২. বাংলা ১২৭* (ইং ১৮৬৪ ) ফাল্গুন মাসে প্রকাশিত।
- ৩. মদিরা ছন্দ। ছন্নঃকুকুম, পূ ৭৭1
