বনের হরিণ কাছে আসে সাথে সাথে ফিরে পাশে
স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ায় দেহছায়।
পায়ের কাছে পড়ে লুটি, বড় বড় নয়ন দুটি
তুলে তুলে মুখের পানে চায়।
আপ্না-ভোলা সরল হাসি, ঝরে পড়চে রাশি রাশি,
আপ্নি যেন জান্তে নাহি পায়।
লতা তারে আট্কে রেখে তার কাছে হাস্তে শেখে,
হাসি যেন কুসুম হয়ে যায়।
গান গায় সে সাঁঝের বেলা মেঘগুলি তাই ভুলে খেলা
নেমে আস্তে চায়রে ধরা পানে,
একে একে সাঁঝের তার গান শুনে তার অবাক্ পারা
আর সবারে ডেকে ডেকে আনে।
আপ্নি মতে আপন স্বরে আর সবারে পাগল করে,
সাথে সাথে সবাই গাহে গান,
জগতের যা কিছু আছে সব্ ফেলে দেয় পায়ের কাছে
প্রাণের কাছে খুলে দেয় সে প্রাণ।
তোরাই শুধু শুন্লিনেরে কোথায় বসে রৈলি যে রে,
দ্বারের কাছে গেল গেয়ে গেয়ে
কেউ তাহারে দেখ্লিনেত চেয়ে।
গাইতে গাইতে চলে গেল, কত দুর সে চলে গেল,
গানগুলি তার হারিয়ে গেল বনে
দুয়ার দেওয়া তোদর পাষাণ মনে।
পাতা:ছবি ও গান-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩২
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২৮
ছবি ও গান
