ইচ্ছা করিলে তথা হইতে যত ইচ্ছা আপনার ফটোগ্রাফ পাইতে পারে।
বি। আজ্ঞা না, তদপেক্ষাও গুরুতর। সে ফটোতে আমাদের দুজনের আকৃতি আছে।
আমি হতাশ হইয়া বলিয়া উঠিলাম, “কি ভয়ানক! এ যে সর্ব্বনাশ করিয়াছেন?”
বিদ্যুৎপ্রকাশ লজ্জিত হইয়া বলিলেন, “তখন আমার হিতাহিতজ্ঞান লোপ পাইয়াছিল। অভিনেত্রী আমায় যাদু করিয়াছিল জানি না, কোন্ গুণে আমি তাহার এত বশীভূত। কিন্তু এখন উপায় কি? ছবিখানি আদায় করিতে হইবে।”
আ। আপনি মিষ্ট কথায় আদায় করিতে পারিবেন না?
বি। না, আমি অনেক চেষ্টা করিয়াছি।
আ। অর্থলোভে সে উহা বিক্রয় করতে পারে।
বি। অনেক টাকা দিতে চাহিয়াছিলাম, সে কিছুতেই ছবি দিতে চায় না।
আ। তবে চুরি করিবার চেষ্টা করুন।
বি। সে চেষ্টাও করিয়াছি, কিন্তু কৃতকার্য্য হইতে পারি নাই। সর্ব্বশুদ্ধ পাঁচবার সেই অভিনেত্রী চোরের হস্তে পতিত হয়। দুইবার তাহার বাড়ীতে, একবার রেলে, আর দুইবার পথে। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, কেহই সেই ছবিখানি বাহির করিতে পারে নাই।
আমি হাসিয়া উত্তর করিলাম, “এ বড় বিষম সমস্যা! এতবার চুরি হইয়া গেল, কিন্তু ছবি বাহির হইল না! সে অভিনেত্রী যে সে রমণী নহে,—একজন পাকা চোর।