অভিনেত্রী চমকিত হইল। তাহার সম্মুখে একটা নরহত্যা হইল দেখিয়া মনে ভয়ও হইল। সে কাতরভাবে জিজ্ঞাসা করিল, “ভদ্রলোকটী কি বাস্তবিক মরিয়া গিয়াছেন?
দুই একজন বলিল, “না, মরেন নাই। কিন্তু আর বড় বেশী দেরীও নাই।”
অভিনেত্রী পুনরায় চমকিতা হইল। সে বলিল, “উহাঁকে আমার বৈঠকখানায় আনিতে পার?”
তখন অনেকেই সে কার্য্যে সাহায্য করিল। আমি অনায়াসে অভিনেত্রীর বৈঠকখানায় আনীত হইলাম। আমাকে রাখিয়া সকলে চলিয়া গেল, তখন আমি এরূপে হাত বাড়াইলাম, যাহাতে অভিনেত্রী বুঝিল, আমার বড় গরম হইতেছে। সে ঘরের জানালা খুলিয়া দিল।
আমি যেখানে ছিলাম, দেখান হইতে বাহিরের অনেকটা দেখা যায়। আমি কৌশলে ঘাড় ফিরাইয়া ডাক্তারকে দেখিতে পাইলাম। দেখিলাম, ভাক্তারও আমার দিকে চাহিয়া আছে।
যখন দেখিলাম, সমস্ত ঠিক হইয়াছে, তখন ডাক্তারকে সঙ্কেত করিলাম। ডাক্তার প্রস্তত ছিল। সেও সেই দুইটী গোলা বাহির হইতে অতি বেগে গৃহ মধ্যে নিক্ষেপ করিল। দুইটী সামান্য শব্দ করিয়া অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হইল, চারিদিক ধূমে আচ্ছন্ন হইল। বাহির হইতে লোক সকল “আগুন লাগিয়াছে” “আগুন লাগিয়াছে” রলিয়া চীৎকার করিয়া উঠিল।
অভিনেত্রী, ভয়ে, যেখানে ছবিখানি, তাহার প্রাণ অপেক্ষা প্রিয়তর বস্তু, লুকাইয়া রাখিয়াছিল, সেইখানে তাড়াতাড়ি গমন করিল। গৃহে আগুন লাগিয়াছে শুনিয়া, তাহার চিত্তের স্থিরতা