সাড়া দিলেন, তখন আমার মনে কেমন এক প্রকার সন্দেহ হইল। আমার বোধ হইল, আপনি সেই ছবির জন্যই সেখানে গিয়াছেন। আপনার সাড়া পাইয়া আমিও আপনার নিকট যাইলাম। তখন আমি ভাল করিয়া আপনার মুখ নিরীক্ষণ করিলাম। দেখিলাম, আপনার মুখে বাস্তবিক রক্তের চিহ্ন নাই। লাল দাগগুলি আল্তা বা অন্য কোন পদার্থ সংযোগে হইয়াছে। তখন আর আপনার নিকট থাকিবার প্রয়োজন বুঝিলাম না এবং আপনাকে কোন কথা না বলিয়া তখনই পলায়নের বন্দোবস্ত করিলাম।
আ। তোমার ন্যায় চতুরা রমণী আমি এ জীবনে আর কখনও দেখি নাই। কিন্ত তুমি একা কোথায় যাইতেছ?
অ। আমি এখন একা নয়। আমার স্বামীও আমার সহিত যাইতেছেন।
আ। তোমার স্বামী! তুমি ত একজন অভিনেত্রী?
অ। হাঁ আমার স্বামী। তিনি আমায় ব্রাহ্মমতে বিবাহ করিয়াছেন।
আ। তিনি কোথায়?
অ। এতক্ষণ বোধ হয় হাওড়া স্টেশনে।
আ। কোথায় যাইবে?
অ। তাঁহার দেশে।
আ। আপাততঃ কোথায় নামিবে?
অ। বৈদ্যনাথে।
আ। সেই ছবিখানির কি করিলে?
অ। সেইখানেই আছে। আপনি যাইলেই পাইবেন।
আ। বাড়ীখানির কি বন্দোবস্ত করিলে?