পত্রখানি কোথা হইতে আসিয়াছে, তাহা জানিবার উপায় নাই, কারণ উহাতে পত্র-লেখকের স্বাক্ষর ছিল না। তিনি লিখিতেছেন:—
“আজ রাত্রি আট্টার সময় আপনার অফিসে থাকিবেন। কোন জমীদার-পুত্র ঐ সময়ে আপনার নিকট গমন করিয়া এক গুরুতর বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ করিবেন। সম্প্রতি কোন জমীদারবাড়ীতে আপনি যে কার্য্য করিয়াছেন, তাহাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে যে, আপনিই জমীদার-পুত্রকে আসন্ন বিপদ হইতে রক্ষা করিতে পারিবেন। জমীদার-পুত্র স্বয়ং আপনার নিকটে না যাইতে পারেন। হয় ও তাঁহার কোন বন্ধুর উপরেই এই কার্য্যের ভার পড়িবে। কিন্তু আপনার নিকট আমার বিনীত অনুরােধ এই যে, আপনি তাঁহাকে কোনরূপ পরিচয় জিজ্ঞাসা করিবেন না। যদি ঈশ্বর দিন দেন, যদি আপনি জমীদার-পুত্রকে এই বিপদ হইতে রক্ষা করিতে পারেন, তাহা হইলে পরে সমস্তই জানিতে পারিবেন। আপনি চেষ্টা করিলে সকলই জানিতে পারিবেন বটে, কিন্তু আমার একান্ত অনুরােধ যে, আপাততঃ সেরূপ কোন চেষ্টা করিবেন না।
পত্রখানি তৃতীয়বার পাঠ করিলাম, কিন্তু কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। চিঠির কাগজখানি সাধারণ বাজারে কাগজ নহে, সাধারণ লােকে সে কাগজ ব্যবহার করা দূরে থাকুক, কখনও দেখিয়াছে কি না বলা যায় না। কাগজখানি আলােকের দিকে ধরিলাম; দেখিলাম, জলের অক্ষরে কি একটা কোম্পানীর নাম লেখা রহিয়াছে। সম্ভবত সেই কোম্পানিই ঐ প্রকারের চিঠির কাগজ প্রস্তুত করিয়া বিক্রয় করিয়া থাকে। কাগজখানি