পাতা:ছাড়পত্র - সুকান্ত ভট্টাচার্য.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তেরশাে সালের মধ্যবর্তী মালিক, মজুতদার
মানুষ ছিলাে কি? জবাব মেলে না তার।

আজ আর বিমূঢ় আস্ফালন নয়,
দিগন্তে প্রত্যাসন্ন সর্বনাশের ঝড়:
আব্দকের নৈঃশব্দ্য হােক যুদ্ধারম্ভের স্বীকৃতি।
দু’হাতে বাজাও প্রতিশােধের উন্মত্ত দামামা,
প্রার্থনা করাে:
হে জীবন, হে যুগসন্ধিকালের চেতনা
অজিকে শক্তি দাও, যুগ যুগ বাঞ্ছিত দুর্দমনীয় শক্তি,
প্রাণে আর মনে দাও শীতের শেষের
তুষার গলানাে উত্তাপ।
টুকরাে টুকরাে করে ছেড়ে তােমার
অন্যায় আর ভীরুতার কলঙ্কিত কাহিনী।
শােষক আর শাসকের নিষ্ঠুর একতার বিরুদ্ধে
একত্রিত হােক আমাদের সংহতি।

তা যদি না হয়, মাথার উপরে ভয়ংকর
বিপদ নামুক, ঝড়ে বন্যায় ভাঙুক ঘর;
তা যদি না হয়, বুঝবে তুমি তাে মানুষ নও
গােপনে গােপনে দেশদ্রোহীর পতাকা বও।
ভারতবর্ষ মাটি দেয়নিকো, দেয়নি জল
দেয়নি তােমার মুখেতে অন্ন, বাহুতে বল
পূর্বপুরুষ অনুপস্থিত রক্তে, তাই
ভারতবর্ষে আজকে তােমার নেইকো ঠাঁই॥

৬২