পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবিধে— বোধ হয় যেন উনিই আমাকে সব চেয়ে বেশি ধরা দিয়েছেন ; আমার ছেলেবেলাকার, আমার বহুকালের অমুরাগিনী সঙ্গিনী । নীরব কবি সম্বন্ধে যে প্রশ্ন উঠেছে সে সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে, সরব এবং নীরবের মধ্যে অনুভূতির পরিমাণ সমান থাকতে পারে, কিন্তু আসল কবিত্ব জিনিসটি স্বতন্ত্র। কেবল ভাষার ক্ষমতা ব’লে নয়, গঠন করবার শক্তি। একটা অলক্ষিত অচেতন নৈপুণ্যবলে ভাবগুলি কবির হাতে বিচিত্র আকার ধারণ করে। সেই স্থজনক্ষমতাই কবিত্বের মূল। ভাষা ভাব এবং অনুভাব তার সরঞ্জাম মাত্র। কারও বা ভাষা আছে, কারও বা অমুভাব আছে, কারও বা ভাষা এবং অমুভাব দুই আছে, কিন্তু আর-একটি ব্যক্তি আছে যার ভাষা অনুভাব এবং স্বজনীশক্তি আছে– এই শেষোক্ত লোকটিকে কবি নাম দেওয়া যেতে পারে। প্রথমোক্ত তিনটি লোক নীরবও হতে পারেন, সরবও হতে পারেন, কিন্তু তার কবি নন। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে ভাবুক বললেই ঠিক বিশেষণটা প্রয়োগ করা হয়। র্তারাও জগতে অত্যন্ত তুর্লভ এবং কবির তৃষিত চিত্ত সর্বদাই তাদের জন্যে ব্যাকুল হয়ে আছে । উপরের এই ভূমিকার পরে আমার সেই জাল ফেলা কবিতাটার ব্যাখ্যা একটু সহজ হবে। লেখাটা চোখের সামনে থাকলে তার মানে নিজে একটু ভালো ক’রে বুঝে বোঝাবার চেষ্টা করতে পারতুম– তবু একটা ঝাপসা রকমের ভাব মনে আছে। মনে করে, একজন ব্যক্তি তার জীবনের প্রভাতকালে সমুদ্রের ধারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সূর্যোদয় দেখছিল ; সে সমুদ্রট। তার আপনার মন কিম্বা ঐ বাহিরের বিশ্ব কিম্বা উভয়ের সীমানা-মধ্যবর্তী একটি ভাবের পারাবার, সে কথা স্পষ্ট করে বলা হয় নি। যাই হোক, সেই অপূর্ব সৌন্দর্যময় অগাধ সমুদ্রের وقمنا لا