পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাঙা চুপড়িগুলো এবং ছেড়া চটটা বহুদিনসঞ্চিত ধুলো-সমেত নিজের হাতে টেনে ফেলে দিলুম— নীচে থেকে পাচ-ছটা । আরসলা সপরিবারে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লেন; তারা আমারই সঙ্গে একান্নবর্তী হয়ে বাস করছিলেন, আমার গুড় আমার পাউরুটি এবং আমারই নতুন জুতোর বার্নিশ তাদের উপজীবিকা ছিল । সাহেব লিখলেন, “আমি এখনি যাচ্ছি। বড়ো বিপদে পড়েছি।’ "ওরে, এল রে এল, চট্‌পট্‌ কর। তার পরে— ঐ এসেছে সাহেব। তাড়াতাড়ি চুল দাড়ি সমস্ত ঝেড়ে ফেলে ভদ্রলোক হয়ে, যেন কোনো কাজ ছিল না, যেন সমস্ত দিন আরামে বসেছিলুম, এইরকম ভাবে হলের ঘরে বসে রইলুম ; সাহেবের সঙ্গে ঈষৎ হেসে হাত নাড়ানাড়ি ক’রে অত্যন্ত নিশ্চিন্তভাবে গল্প করতে লাগলুম— সাহেবের শোবার ঘরে কী হল এই চিন্তা ক্রমাগত মনের মধ্যে ঠেলে ঠেলে উঠতে লাগল। গিয়ে দেখলুম এক রকম দাড়িয়ে গেছে; রাত্তিরটা ঘুমিয়ে কাটতেও পারে যদি না সেই গৃহহীন আরস্থলে৷ গুলো রাত্তিরে তার পায়ের তেলোয় সুড় মুড়ি দেয়। 8X