পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रैॐ সাজাদপুর खून >b>> কাল রাত্রে ভারি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলুম। সমস্ত কলকাতা শহরটা যেন মহা একটা ভীষণ অথচ আশ্চর্য ভাবের দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে আছে— বাড়িঘর সমস্তই একটা অন্ধকার কালো কুয়াশার ভিতর থেকে দেখা যাচ্ছে, এবং তার ভিতর তুমুল কী-একটা কাও চলছে। আমি একটা ভাড়াটে গাড়ি ক’রে পার্ক ষ্ট্রটের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। যেতে যেতে দেখলুম, সেন্ট জেভিয়ার কলেজটা দেখতে দেখতে হুহু ক’রে বেড়ে উঠছে, সেই অন্ধকার কুয়াশার মধ্যে অসম্ভব উচু হয়ে উঠছে। তার পরে ক্রমে জানতে পারলুম, এক দল অদ্ভূত লোক এসেছে, তারা টাকা পেলে কী-এক কৌশলে এইরকম অপূর্ব ব্যপার করতে পারে। জোড়াসাকোর বাড়ি এসে দেখি সেখানেও তারা এসেছে ; বদ দেখতে, কতকটা মোঙ্গোলিয়ান ধীচের চেহারা– সরু গোপ, গোটা দশ-বারে দাড়ি মুখের এ দিকে ও দিকে খোচাখোচা-রকম বেরিয়েছে। তারা মানুষকেও বড়ো করে দিতে পারে। তাই আমাদের দেউড়িতে আমাদের বাড়ির সব মেয়েরা লম্বা হবার জন্যে উমেদার হয়েছেন ; তারা এদের মাথায় কী-একটা গুড়ে দিচ্ছে আর এর হুস ক’রে লম্বা হয়ে উঠছেন । আমি কেবলই বলছি, ‘কী আশ্চর্য, এ যেন ঠিক স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।’ তার পরে কে একজন প্রস্তাব করলে, আমাদের বাড়িটা উচু ক’রে দিতে। তারা রাজি হয়ে বাড়ি কতকটা ভাঙতে আরম্ভ করলে, খানিকট ভেঙেচুরে বললে, “এইবার এত টাকা চাই, নইলে বাড়িতে হাত দেব না। কুঞ্জসরকার বললে, সে কী হয়। কাজ না হয়ে গেলে কী ক’রে টাকা দেওয়া যায় ? বলতেই তারা চটে ግፀ