পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ヘ শিলাইদা, ,২২শে জুন .و | l >br為s | আজ খুব ভোরে বিছানায় শুয়ে শুয়ে শুনছিলুম ঘাটে মেয়ের উলু দিচ্চে। শুনে মনটা কেমন ঈষৎ বিকল হয়ে গেল—অথচ তার কারণ পাওয়া শক্ত । বোধ হয় এই রকমের একটা আনন্দ ধ্বনিতে হঠাৎ অনুভব করা যায় পৃথিবীতে একটা বৃহৎ কৰ্ম্মপ্রবাহ চলচে যার অধিকাংশের সঙ্গেই আমার যোগ নেই—পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ আমার কেউ নয় অথচ তাদের কত কাজকৰ্ম্ম সুখদুঃখ উৎসব আনন্দ চলচে । কি বৃহৎ পৃথিবী ! কি বিপুল মানবসংসার । কত সুদূর থেকে জীবনের ধ্বনি প্রবাহিত হয়ে আসে— সম্পূর্ণ অপরিচিত ঘরের একটুখানি বাৰ্ত্ত পাওয়া যায়। মানুষ যখন বুঝতে পারে আমার কাছে আমি যত বড়ই হই আমাকে দিয়ে সমস্ত বিশ্ব পরিপূর্ণ করতে পারিনে— অধিকাংশ জগতই আমার অজ্ঞাত অজ্ঞেয় অনাত্মীয় আমাহীন—তখন এই প্রকাণ্ড ঢিলে জগতের মধ্যে আপনাকে অত্যন্ত খাটো এবং একরকম পরিত্যক্ত এবং প্রাস্তবত্তী বলে মনে হয়—তখনি মনের মধ্যে এই রকমের একটা ব্যাপ্ত বিষাদের উদয় হয় । তা ছাড়া এই উলুধ্বনিতে নিজের অতীত ভবিষ্যৎ সমস্ত জীবনটা একটি অতি সুদীর্ঘ পথের মত চখের সমুখে উদয় হল এবং তারি এক একটি সুদূর ছায়াময় প্রাস্ত থেকে এই উলুধ্বনি কানে এসে পৌছতে লাগল। এই রকম ভাবেত আজ দিনটা আরম্ভ করেছি। এথনি সদরনায়েব আমলাবর্গ এবং প্রজার উপস্থিত হলে এই উলুধ্বনির প্রতিধ্বনিটুকু পাড়া ছেড়ে পালাবে—অতি ক্ষীণ ভুতভবিষ্যৎকে দুই কনুইদিয়ে ঠেলে ফেলে জোয়ান বর্তমান নিজমূৰ্ত্তিধরে সেলামঠুকে এসে দাড়াবে। ജ്ജ ♔ ജഅജ്ജ >8