পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাজাদপুর ২৯শে জুন, >br;)s | কালকের চিঠিতে লিখেছিলুম আজ অপরাতু সাতটার সময় কবি কালিদাসের সঙ্গে একটা এনগেজমেণ্ট করা যাবে । বাতিটি জালিয়ে টেবিলের কাছে কেদারাটি টেনে বইখানি হাতে যখন বেশ প্রস্তুত হয়ে বসেছি হেনকালে কবি কালিদাসের পরিবর্তে এখানকার পোষ্টমাষ্টার এসে উপস্থিত। মৃত কবির চেয়ে একজন জীবিত পোষ্টমাষ্টারের দাবী ঢের বেশি । আমি তাকে বলতে পারলুম না—আপনি এখন যান, কালিদাসের সঙ্গে আমার একটু বিশেষ প্রয়োজন আছে—বল্পেও সে লোকটি ভাল বুঝতে পারতেন না । অতএব পোষ্টমাষ্টারকে চৌকিট ছেড়ে দিয়ে কালিদাসকে আস্তে আস্তে বিদায় নিতে হল। এই লোকটির সঙ্গে আমার একটু বিশেষ যোগ আছে। যখন আমাদের এই কুঠিবাড়ির একতলাতেই পোষ্ট অপিস্ ছিল এবং আমি একে প্রতিদিন দেখতে পেতুম তখনি আমি একদিন দুপুরবেলায় এই দোতালায় বসে সেই পোষ্টমাষ্টারের গল্পটি লিখেছিলুম এবং সে গল্পট যখন হিতবাদীতে বেরল তখন আমাদের পোষ্টমাষ্টার বাৰু তার উল্লেখ করে বিস্তর লজ্জামিশ্রিত হাস্য বিস্তার করেছিলেন । যাই হোক এই লোকটিকে আমার বেশ লাগে । বেশ নানারকম গল্প করে যান আমি চুপ করে বসে শুনি ওরি মধ্যে ওঁর আবার বেশ একটু হাস্যরসও আছে। পোষ্টমাষ্টার চলে গেলে সেই রাত্রে আবার রঘুবংশ নিয়ে পড়লুম। ইন্দুমতীর স্বয়ম্বর পড়ছিলুম। সভায় সিংহাসনের উপর সারিসারি সুসজ্জিত সুন্দর চেহার রাজার বসে গেছেন—এমন সময় শঙ্খ এবং তুরীধ্বনির মধ্যে বিবাহবেশ পরে মুননার হাত ধরে ইন্দুমতী তাদের মাঝখানের সভাপথে এসে দাড়ালেন । ছবিটি মনে করতে এমনি সুন্দর লাগে ! তার পরে সুনন্দ এক এক জনের পরিচয় করিয়ে দিচ্চে আর ইন্দুমতী অনুরাগহীন এক একটি প্রণাম করে চলে যাচ্চেন । এই প্রণাম কাটি