পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৭১ ) আমি তাদের কিছুই জানিনে এবং কোনোকালেই জানতে পাব কিনা তাও জানিনে—অথচ ঐ জ্যোতির্মণ্ডলীর মধ্যে বিচিত্র জীবনের অনন্ত ইতিহাস প্রপাহিত হয়ে যাচ্চে। আজ সন্ধ্যের সময় আর চিঠি লেখা হয়ে ওঠেনি—তাই এখন লিখচি । এখন কত রাত হবে ? এগারোটা । যখন চিঠিটা পৌছবে তখন দিনের বেলাকার প্রখর আলোকে জগৎটা খুবই সজাগ চঞ্চল, নানান কাজে ব্যস্ত—তখন কোথায় এই সুষুপ্ত নিস্তদ্ধ রাত্রি কোথায় ঐ অনন্ত বিশ্বলোকের জ্যোতিৰ্ম্মদ শব্দহীন বা এত সুতীব্র প্রভেদ ! কিছুতে ঠিক ভাবটি আনা যার না । মানুষের মনের ক্ষমত এত সামান্য ! যে খুবই পরিচিত, চোপ বুজে তার আকৃতির প্রত্যেক রেখাটি মনে আন। যায়ন—একসময় যা সর্বপ্রধান আর একসময় তা যথা রিপে স্মৃতিগম্য করাও শক্ত হয়ে ওঠে । দিনের বেলায় রাতকে ভুলি, রাতের বেলার দিনকে ভুলি । চাদের খণ্ড অনেকক্ষণ হল উঠেছে—চতুর্দিক একেবারে নিস্তব্ধ নিদ্রিত—কেবল গ্রামের গোটা দুই কুকুর ওপার থেকে ডাক্‌চে –আমার এই বোটে কেবল একটি বাতি জ্বচে—আর সব জায়গায় আলো নিবেছে—নদীতে একটু গতিমাত্র নাই, তাতেই মনে হয় মাছগুলো রাত্তিরে ঘুমোয়। জলের ধারে সুপ্ত গ্রাম এবং জলের উপর গ্রামের সুপ্ত ছায় । ഞ്ഞ Q =ഞ്ഞ്ജ