পাতা:ছিন্নপত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাজাদপুর । জানুয়ারী > ケン● — কাজেই দুফুর বেল পাগড়ি পরে কার্ডে নাম লিখে পান্ধী চড়ে জমিদারবাৰু চল্লেন । সাহেব তাবুর বারান্দায় বসে বিচার করচেন, দক্ষিণ পাশ্বে পুলিসের চর । বিচারপ্রার্থীর দল মাঠে ঘাটে গাছতলায় পড়ে অপেক্ষা করে আছে—একেবারে তার নাকের সামনে পান্ধী নাবালে—সাহেব খাতির করে চৌকিতে বসলেন । ছোকরাহেন, গোফের রেখা উঠছে—চুল খুব কটা, মাঝে মাঝে একটু একটু কালো চুলের তালি দেওয়া—হঠাৎ মনে হয় বুড়ে মাতৃৰ, অথচ মুখ নিতান্ত কাচা । সাহেবকে বলুম BBB BB BBB BB BB KB BB BBBB BB B BB BB BB BBBB যাচ্চি—Pig-sticking-এর যোগাড় করতে । বাড়ি চলে এলুম । ভয়ানক মেঘ করে এল—ঘোরতর ঝড়—মুষলধারে বৃষ্টি । বই ছুতে ইচ্ছে করচে না, কিছু লেখ। অসম্ভব-—মনের মধ্যে যাকে কবিত্বের ভাষায় বলে, কি যেন কি হত্যাদি । এ ঘর থেকে ও ঘরে পায়চারী করে বেড়াতে লাগলুম । অন্ধকার হয়ে এসেছে— গড়গড় শব্দে মেঘ ডাকচে, বিদ্যুতের উপর বিদ্যুৎ—হু হু করে এক-একটা বাতাসের দমকা আসচে আর আমাদের বারান্দার সামনের বড় নীচু গাছটার ঘাড় ধরে যেন তার দাড়ি সুম মাথাট। নাড়িয়ে দিচ্চে । দেখতে দেখতে বৃষ্টির জলে আমাদের শুকনে খালটা প্রায় পুরে এল । এই রকম করে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ আমার মনে হল ম্যাজিষ্ট্রেটকে এই বাদলায় আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করা আমার কৰ্ত্তব্য । চিঠি লিখে দিলুম। চিঠি পাঠিয়ে দিয়ে ঘর তদারক কৰ্ত্তে গিয়ে দেখি, সে ঘরে দুটো বৰ্ণশের ঝোলার উপর তাকিয় গদি ময়লা লেপ টাঙান –চাকরদের গুল টিকে তামাক, তাদেরই দুটে৷ কাঠের সিন্ধুক—তাদেরই মলিন লেপ, ওয়াড়হীন তৈলাক্ত বালিশ ও মসীবর্ণ মাকুর, এক টুকরো ছেঁড় চট ও তার উপরে বিচিত্র জাতীয় মলিনত—কতকগুলো পাক বাক্সর মধ্যে নানাবিধ জিনিষের ভগ্নাবশেষ—যথ মরচেপড়া কাংলির ঢাকুনি, তলাহীন