করিতে চেষ্টা করিতেছিলেন, হিরণই যামিনীর সহিত নীরজার বিবাহে বাধা দিয়া প্রমোদের পক্ষ লইয়াছিলেন। যামিনী প্রতিশোধ লইবার উত্তম সুযোগ বুঝিয়া প্রমোদের কথায় লাফাইয়া উঠিয়া বিস্ফারিত নেত্রে বলিয়া উঠিলেন—
“হিরণকে তুমি পিস্তল হাতে গলিতে ঢুকতে দেখলে—বটে! এখন আসল ব্যাপারটা আমার চক্ষের সামনে খুলে গেল, আমি সব বুঝতে পারছি।”
প্রমোদ সবিস্ময়ে বলিলেন—
“কি? তোমার কথাতো আমি কিছুই বুঝতে পারচিনে, তোমার ও কি আমার মত হঠাৎ সন্দেহ হচ্ছে নাকি?”
যা। সন্দেহ নয় ঠিকই, আর কোন ভূল নেই; সেই পাষণ্ডেরই এই কাজ।
প্রমোদ আবার বলিলেন “কি কাজ? আমাকে মারতে যাওয়া? কিন্তু—যার কারণ নেই—”
যা। কারণ নেই? এই জঘন্য ঘাতকের কাজ তারি।
প্রমোদ তখন শিহরিয়া বলিলেন “হিরণকে আমি যতই ঘৃণা করি না কেন, তাকে এরূপ কার্য্যে পারগ মনে করতে পারি নে, বিশেষতঃ তাতে তার লাভ কি? হঠাৎ তাকে দোষী মনে হয় বটে, কিন্তু সে সুধু ক্ষণিকের সন্দেহ মাত্র। অসম্ভব, এক জন ভদ্র লোকের পক্ষে এ কাজ অসম্ভব, বিশেষতঃ অকারণে।”
যা। তুমি জাননা তাই এ কথা বলছ। তুমি জান, হিরণ সন্ন্যাসীর সম্পর্কীয় ব্যক্তি?
প্র। না।
বা। নীরজাকে নিয়ে যাবার সময় সন্ন্যাসী হিরণকে সঙ্গে আনেন, সেই সময় কথায় কথায় দেখলেম হিরণ তোমাকেদূর কত ঘৃণা করে।”