পরিমলে মাখামাখি একটী গোলাপ দেখি
আপনা ভুলিয়ে, আহা! মোহময় হরষে,
ভুলিতে গিয়াছি যে, প্রফুল্ল কুসুম সেই
অমনি শুকায়ে গেছে এ হাতের পরশে।
একটী পুষেছি পাখী যদি ভাল বাসিয়ে,
দুদিনে খাঁচাটি ভেঙ্গে গিয়েছে সে পালিয়ে,
কাঁদিয়ে জনম গেল, কেহ তো বাসেনি ভাল,
অনন্ত এ অশ্রুধারা করেনি কেহ মোচন।”
গানটি খানিকক্ষণ শুনিয়া নীরজা বলিল—
“এই এতক্ষণ ভাই তুই কেমন ছিলি, কেন আমি মরতে গানের কথা পাড়লুম। তোর এই রকম ভাব দেখলে আমার বড় ভয় হয়, জানি যে তাহলে সমস্ত দিনটাই তোর এইভাবে কাটবে।”
ক। তা কাটলোই বা? তাতে কার কি এল গেল, ভাই?
নী। তা বইকি? আমার সঙ্গে যে তা হ’লে সমস্ত দিন কথা কইবিনে? আমার যে একলাটি চুপ করে থেকে গুমরে মর্তে হবে।”
ক। তা আমি নাইবা কথা কইলুম, তুই দাদার গল্প করিস, আমি শুন্ব এখন, তা হলেই তো তোর হ’ল?
নী। শুধু ওরূপ করে শুনিয়ে কি তেমন মজা হয়?
ক। তবে আবার কি চাই?
নী। হেসে গল্প করে না শুনলে আমি তোকে বলব না ত।
ক। তুই দেখিস দেখি, আমি হেসেই শুনব। তোর সুখের কথায় কি ভাই, আমার আমোদ হয় না?
নী। আচ্ছা তা যেন তোর হয়, কিন্তু তুই ভাই মাঝে মাঝে অমন বিষণ্ণ হোস্ কেন?
ক। কি করে তা বলব?