আর দাঁড়িয়ে সহ্য করতে পারিনে।” বলিয়া ব্যগ্র চিত্তে এই আসন্ন বিপদ হইতে রক্ষা পাইবার উপায় চিন্তা করিতে করিতে সেখান হইতে চলিয়া গেলেন।
ভৃত্য ঠিকা গাড়ীতে জিনিষ উঠাইয়া প্রভুর অপেক্ষায় গাড়ীর কাছে দাঁড়াইয়া ছিল, যামিনী সেখানে আসিয়া গাড়ী চড়িয়া হুকুম দিলেন, “মিত্রালয়ে চল।”
যামিনীনাথ অবশ্য প্রমোদের কাছেই আসিতেছিলেন, কিন্তু তাঁহাকে বিস্ময়ে ফেলিবেন বলিয়া পূর্ব্ব হইতে সংবাদ দেন নাই। ইতিমধ্যে এইরূপ ঘটনা ঘটায় সহসা মতলব বদল করিয়া ‘মিত্রালয়ে’ থাকাই শ্রেয়ঃজ্ঞান করিলেন।
যামিনীনাথ চলিয়া গেলে রামধন হিরণকুমারের নিকট আসিয়া কহিল—“বাবুকে আমার দেখা দেবার ইচ্ছা ছিল না তাই দূরে ছেলাম। বড় ভয় করে মশায়। আমি এখানে আছি জানলে চোর বলে যদি পুলিষেই ধরিয়ে দেন। কিন্তু আপনার সঙ্গে কলকাতায় গিয়ে নিশ্চয়ই আমি আদালতে সাক্ষী দেব— তাতে সন্দেহ করবেন না। কবে যাওয়া হচ্ছে?”
হিরণ বলিলেন—“এখন, ঠিক বলতে পারছিনে দেখি কি রকম দাঁড়ায়।—"
ভৃ। তবে আমাকে দুদিন ছুটি দিতে হুকুম হোক, মাসীর বাড়ী গিয়ে থাকি, আবার ডাকলেই আসব।
হিরণ দরখাস্ত মঞ্জুর করিলেন, সে মাসীর বাড়ী গেল, তিনি গৃহাভিমুখী হইলেন। বাড়ী আসিয়া দেখিলেন তখনো রাত্রি অধিক হয় নাই, ১০টা মাত্র, তৎক্ষণাৎ তিনি প্রমোদকে একখানি পত্র লিখিয়া পাঠাইলেন।
হিরণের ভৃত্য পত্র হস্তে প্রমোদের বাটী অভিমুখে যাইতেছিল।