সন্ন্যাসী অধীর গম্ভীর ভাবে বলিলেন “নীরজাকে আমায় ফিরে দিতে কি তবে মানস করেছ?”
প্র। আপনি জানেন না যে আমাকে দোষী ভেবে আমার মনে কি কষ্ট দিচ্ছেন। কিন্তু আজ আপনার অবিশ্বাস দূর হবে। দিন হঠাৎ জেনেছি নীরজা কোথায়।
সন্ন্যাসী প্রতিধ্বনির মত জিজ্ঞাসা করিলেন—
“কোথায়?”
প্রমোদ তখন নীরজার উদ্ধার বিবরণ সংক্ষেপে বলিয়া কহিলেন, “যামিনীনাথ আপনাকে অনেক বার চিঠি লিখেছেন; আপনি তা না পাওয়াতেই যত গোল ঘটেছে।”
সন্ন্যাসী বিস্ময়সহকারে বলিলেন “যামিনীনাথ! যাকে নীরজা তোমার সঙ্গে একরাত্রি আশ্রয় দিয়েছিল, তার নামই না যামিনীনাথ? সে নীরজাকে উদ্ধার করেছে? কিন্তু উদ্ধার ক’রে আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া দূরে থাক্ সে খবরটা পর্য্যন্ত আমাকে এত দিন দেয় নি।”
প্রমোদ বলিলেন “মহাশয় তাঁকে সন্দেহ করবেন না, আগেইত বল্লেম তিনি আপনাকে খবর দিতে ত্রুটি করেন নি, আপনার কাছে যে সে সব চিঠি কেন পৌঁছয় নি সেইটেই আশ্চর্য্য!”
সন্ন্যাসী কিয়ৎকাল চিন্তামগ্ন ভাবে নিরুত্তর থাকিয়া পরে বলিলেন “চিঠি লিখলে আমি পেতেম না এ অসম্ভব!”
প্র। না মহাশয়, আপনি আবার আর একজনকে অন্যায় রূপে দোষী করছেন।
সন্ন্যাসী সে কথা না শুনিয়া প্রমোদকে বলিলেন “নীরজা কোথা, এত দিন তুমি তা জানতে না?”
প্র। না।
স। অথচ যামিনী তোমার পরম বন্ধু?