নীরজাকে জলে ফেলে দেওয়াও ত ভাল। কেন, মহাশয় আপনার কন্যার কি আর বর জোটে না? প্রমোদের সহস্র দোষ থাকলেও যামিনীর চেয়ে প্রমোদ সুপাত্র।”
হিরণের কথা শুনিয়া যামিনী মনে মনে গর্জ্জিতে লাগিলেন! তাঁহার চিত্ত দমন করিয়া রাখা কঠিন হইয়া উঠিল। সরোষে বলিয়া উঠিলেন,—
“কন্যাদান সম্বন্ধে তার পিতা যা ইচ্ছা স্থির করুন, কিন্তু মহাশয় কথা কবার কে?”
হিরণকুমার ঈষৎ ক্রুদ্ধভাবে বলিলেন “আচ্ছা, পিতাই কন্যার যথার্থ হিতাহিত বুঝুন।”
কথাবার্ত্তার পর সন্ন্যাসী রোষগম্ভীর-মৌন ভাবে সেইখান হইতে বিদায় লইয়া নীরজাকে আনিতে যামিনীনাথের সহিত তাহার বাটী যাত্রা করিলেন। সন্ন্যাসীকে একাকী পাইয়া যামিনীর যেন প্রাণে প্রাণ আসিল, রাস্তায় যাইতে যাইতে তিনি বলিলেন “মহাশয়, আপনি অন্যের কথায় আমাকে কি যথার্থই দোষী মনে করছেন?—আমার ব্যবহারে কি সত্যই একজন নীচমনা দস্যু বলেই আমাকে মনে হয়?”
সন্ন্যাসী কোন উত্তর করিলেন না, নীরবে গম্ভীর দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিলেন মাত্র।
যামিনী আশ্বস্ত হইয়া আবার বলিলেন, “কিন্তু আমার এই মিনতি, আপনি আমাকে দোষী স্থির করবার আগে আর একবার নীরজার সহিত কথা করে দেখবেন।”
কথা কহিতে কহিতে তাঁহারা যামিনীর বাটীতে আসিয়া উপনীত হইলেন। বাড়ী আসিয়া যামিনী সন্ন্যাসীর আদেশ অনুসারে নীরজাকে তাঁহার নিকট আনিয়া দিলেন। তিনি আজই কন্যাকে কানপুর