স্ত্রীলোকদ্বয়ের কথা শুনিয়া আমি আর কোনরূপ দ্বিরুক্তি করিলাম না। কেবলমাত্র একটী লোক সমভিব্যাহারে তাহাদিগের সহিত তখনই প্রস্থান করিলাম।
বাজার হইতে বহির্গত হইয়া একটী ময়দান দেখিলাম। সেই ময়দানের মধ্য দিয়া এক ক্রোশ পথ গমন করিবার পর, একখানি গ্রাম দেখিতে পাইলাম। সেই গ্রাম অতিক্রম করিয়া অপর আর একখানি গ্রামে উপস্থিত হইলে সেই স্ত্রীলোকদ্বয় আমাকে কহিল, “এই গ্রামেই সেই স্ত্রীলোকের বাস।” আরও কহিল, “আপনারা এই স্থানে একটু অপেক্ষা করুন। আমরা গিয়া দেখিয়া আসি, সেই স্ত্রীলোকটী এখন বাড়ীতে আছে কি না, এবং সেই বালকটীই বা এখন কোথায়।” তাহাদিগের প্রস্তাবে আমি সম্মত হইলাম, উহারা উভয়েই সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিল। অতি অল্পক্ষণ পরেই উহাদিগের একজন প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া কহিল, “আসুন মহাশয়! আমার সহিত আসুন, সেই স্ত্রীলোকটী এবং বালকটী এখন বাড়ীতেই আছে। আমি তাহাদিগকে স্বচক্ষে দেখিয়া আসিয়াছি, ও আমার সমভিব্যাহারী সেই স্ত্রীলোকটীকে আমি সেই স্থানে রাখিয়া আসিয়াছি।”
আমি তাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া, তাহার নির্দ্দেশমত তাহার সহিত গমন করিলাম। কিয়দ্দূর গিয়া সে আমাকে একখানি সামান্য খড়ের ঘর দেখাইয়া দিয়া কহিল, “ইহাই সেই স্ত্রীলোকটীর বাড়ী, এবং এই বাড়ীতে সেই বালকটীও আছে। আপনি এখন এই বাড়ীর ভিতর প্রবেশ করিলেই সেই বালকটীকে দেখিতে পাইবেন। তখন আপনি জানিতে পারিবেন যে, সেই বালকটী আপনার কি না।”