পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি তো এখানে থাকব না। আমি একটু কিছু ঠিক ক’রে দিয়েই কাশী চলে যাবো । একরকম ক’রে হরিহর নেবেন চালিয়ে । ভাই গেলাম নিশ্চিন্দিপুরে— সৰ্বজয়া বলিল, আপনি বুঝি আমাদের কাশী যাওয়ার কথা । শোনেন নি ? --তা কি ক’রে শুনবো ? তোমাদের দেশে গিয়ে শুনলাম, তোমরা নেই। সেখানে । কেউ তোমাদের কথা বলতে পারে নাসবাই বলে তারা এখান থেকে বেচে-কিনে তিন-চার বছর হ’ল কাশী চলে গিয়েচে । তখন কাশী যাই । কাশীতে আমি আজ দশ বছর । খুজতেই সব বেরিয়ে পড়লো হিসেব ক’রে দেখলাম হরিহর যখন মারা যান, তখন আমিও কাশীতেই আচি, অথচ কখনো দেখাশুনো शग्रु नि, ऊ शव् किं अद्भि অপু আগ্রহের সুরে বলিল, নিশ্চিন্দিপুরে আমাদের বাড়িটা কেমন আছে, দাদামশায় ? —সেদিকে আমি গেলাম কৈ ! পথেই সব খবর পেলাম কি-না । আমি আর সেখানে দাড়াই নি ; কেউ ঠিকানা দিতে পারলে না । ভুবন মুখুয্যে মশায় অবিশ্যি খাওয়া-দাওয়া করতে বললেন আর তোমার বাপের একশো নিন্দে-বুদ্ধি নেই, সাংসারিক জ্ঞান নেই।--হেন-তেন । যাক সে সব কথা, তোমরা এলে ভাল হল। যে ক’ঘর যজমান আছে তোমাদের বছর তাতে কেটে যাবে। পাশেই তেলিরা বেশ অবস্থাপন্ন, তাদের ঠাকুর প্রতিষ্ঠা আছে। আমি পূজোটুজো করতাম অবিশ্যি, সেটাও হাতে নিতে হবে ক্রমে। তোমাদের নিজেদের জিনিস দেখে শুনে নিতে হবে। উল গ্রামের মধ্যেও খুব বন, গ্রাম ছাড়াইয়া মাঠের পথেও বনঝোপ । সূৰ্য আকাশে অনেকখানি উঠিয়া গিয়াছে। চারিধারে প্ৰভাতী রৌদ্রের মেলা, পথের ধারে বলতুলসীর জঙ্গল, মাঠের ঘাসে এখনও স্থানে স্থানে শিশির জমিয়া আছে, কোন রূপকথার দেশের মাকড়সা যেন রূপালী জাল বুনিয়া রাখিয়াছে। মাঝে মাঝে কিসের by