পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুন্দর ছেলে চোখ মুছিতে মুছিতে বাহির হইয়া আসিল । রামপদবাবু বলিলেন, তোমার নাম অপূর্ব ! ও !-- এবার আড়বোয়ালের স্কুল থেকে স্কলারশিপ পেয়েছ ? বাড়ি কোথায় ? ও ! বেশ বেশ, আচ্ছা স্কুলে দেখা হবে। সমীর জিজ্ঞাসা করিল, স্যার, অপূর্ব কোন ঘরে থাকবে এখনও সেকেন মাস্টার মশায় ঠিক করে দেন নি। আপনি একটু বলবেন ? রামপদবাবু বলিলেন, কেন তোর ঘরে তো সীট খালি রয়েছেওখানেই থাকবে । সমীর বোধ হয় ইহাই চাহিতেছিল, বলিল,- আপনি একটু বলবেন তাহলে সেকেন— রামপদবাবু চলিয়া গেলে অপূর্ব জিজ্ঞাসা করিল ইনি কে ? পরে পরিচয় শুনিয়া সে একটু অপ্ৰতিভ হইল। হয়ত বোর্ডিং-এর নিয়ম নাই এত বেলা পৰ্যন্ত ঘুমানো, সে না জানিয়া প্ৰথম দিনটাতেই হয় তা একটা অপরাধের কাজ করিয়া বসিয়াছে। • • • একটু বেলা হইলে সে স্কুলবাড়ি দেখিতে গেল। কাল অনেক রাত্ৰে আসিয়া পৌছিয়ছিল, ভাল করিয়া দেখিবার সুযোগ পায় নাই। রাত্রের অন্ধকারে আবছায়া-দেখিতে-পাওয়া সাদা রং-এর প্ৰকাণ্ড স্কুল বাড়িটা তাহার মনে একটা আনন্দ ও রহস্যের সঞ্চার করিয়াছিল। এই স্কুলে সে পড়িতে পাইবে!-- কতদিন শহরে থাকিতে তাহাদের ছোট স্কুলটা হইতে বাহির হইয়া বাড়ি ফিরিবার পথে দেখিতে পাইত-হাই স্কুলের প্রকাণ্ড কম্পাউণ্ডে ছেলেরা সকলেই এক ধরণের পোশাক পরিয়া ফুটবল খেলিতেছে। তখন কতদিন মনে হইয়াছে এত বড় স্কুলে পড়িতে যাওয়া কি তাহার ঘটিবে কোন কালে- -এসব বড়লোকের ছেলেদের জন্য । এতদিনে তাহার আশা পূর্ণ হইতে চলিল। বেলা দশটার কিছু আগে বোডিং-সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট বিধুবাবু তাহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। সে কোন ঘরে আছে, নাম কি, বাড়ি কোথায়, নানা জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া বলিলেন, সমীর ছোকরা ভাল, Rම්